তুমি চাইলে
জমানো স্মৃতির শোক সভার অবসান হতো ৷
আবারও মোজাইক পথে ঠোঙা ভরা বাদাম
খেতে খেতে হাঁটতাম পৌর পার্ক ৷
তুমি চাইলে
শক্ত করে হাত ধরে রাখার প্রবনতা ফিরে
পেতাম ৷
চোখাচোখি হওয়া মাত্র প্রবল উত্তেজনা নিয়ে
'ভালবাসি' বলা হত ৷
কিংবা তুমি চাইলে
আমাদের প্রিয় কার্ণিশ আড্ডা জমে উঠত ৷
রেলিঙে হাতের স্পর্শ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম
আকাশ, মধ্য বিকেলের হাওয়ায় ৷
তুমি চাইলে
সন্ধ্যার স্ন্যাক্সে, কিংবা তোমার হাতের ঝাল -
মুড়ির সাথে সময় চলত ৷
অথবা তোমার প্রিয় চ্যানেল দেখা হতো ভীষণ
আয়েশ করে ৷
তুমি চাইলে
আবারও তোমার লাল সফেদ শাড়ীর
সৌন্দর্য্যের মোহিত হতাম ৷
শাড়ী পরা প্রিয়য়িনীর দেয়াল ছবির মুগ্ধতা
ছড়ানো ভালবাসা ফের শুরু হতো ৷
তুমি চাইলে
আমি তোমার দুই ওষ্ঠের হাসি ফিরে পেতাম ৷
লাল লিপিষ্ট্রিক করা লিপের হাসির প্রেমে
বিভাবরী মগ্ন হতাম ৷
তুমি চাইলে
তুমি আমার হতে ৷
আমার মুক্ত আকাশ তোমার হতো
সে আকাশে উড়া আঁচলের ছায়ায় হতো
আমাদের সুখ বিনিময় ৷
তুমি চাইলে
রঙের খেলায় জমে ওঠত প্রেম ৷
ভালবাসার বর্ণ দিয়ে লেখা হতো আরও
কয়েক শত চিঠি ৷
তুমি চাইলে
তোমার গল্পের আসরে আমি বিনয়ী শ্রোতা
হতে পারতাম ৷
কপালে গড়িয়ে পড়া এলোকেশ ঠিক করে
দিতে প্রবল আগ্রহ নিয়ে চেয়ে থাকতাম ৷
তুমি চাইলে
তোমার ঘুম ভাঙানোর পাখি হতে পারতাম ৷
এলোচুল বেঁধে দিতাম
কিংবা সকালের প্রথম চায়ে জানাতাম
শুভেচ্ছা ৷
তুমি চাইলে
তুমি আমার হতে
শুভ্রতা ছড়ানো ভালবাসা আমাদের হতো ৷
ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৪
জামতলার ঘর