জননী উপাখ্যান
কাজী হেলাল
তুমি ছিলে শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা!
ছিলে তুমি মুক্তিযোদ্ধা মাতা শ্রেষ্ঠ!
কি অমিত সাহস নিয়ে তোমার বক্ষ চিরে
দুহাত উঁচু করে ধরলে হৃদপিণ্ড, লাল সবুজের পতাকায়।
তোমার সাহস কে সম্মান জানিয়ে
পদ্মা, মেঘনা, ধলেশ্বরী,
ক্ষণিকের তরে স্তব্ধ৷
নেমে এলো আকাশ পদপ্রান্তে তোমার।
তোমার ভালোবাসার রঙকে আরো রাঙ্গিয়ে দিয়ে
লাল মোরগের ঝুটি, পৌঁছে দিলো রক্তিম অভিবাদন
ভোরের আলোয়,দৃপ্ত শপথের অঙ্গীকারে।
শ্রাবনের মেঘ
ঢাকার রাজপথ
বুড়িগঙ্গার জলজ উদ্ভিদ থেকে শুরু করে-
রমনার মহীরুহ,
তোমার একান্ত আপন শোককে
পরিণত করলো জাতির শক্তিতে!
দো-আঁশলা মাটির প্রতি তোমার মমতা
মৌমাছির গুঞ্জরন হয়ে দিকবিদিক-
বাংলার মায়েরা
মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রার্থনা,
আঁচলে মুছে চোখ
দিয়ে অশ্রু নির্বাসন, শামিল হলো তোমার যুদ্ধে।
তোমার হৃদয় উৎসারিত কান্নাকে আঁচলে বেঁধে
তুমি বাংলার বরপুত্র রুমির মা থেকে -
অবিসংবাদিত "শহীদ জননী"
জন্মভূমির কোলে দীপ্তিময় সাহসী যোদ্ধা।
তোমার সব সন্তানেরা-
বারুদ হয়ে জ্বলে উঠলো রাজপথে -
তারপর বিস্ফোরণ, বিস্ফোরণ আর বিস্ফোরণে
কেঁপে উঠল ঢাকা, ছড়িয়ে পড়লো সমগ্র দেশ-
অতঃপর,সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে শির উঁচু করে দাঁড়ালো
একটি নির্ভীক পতাকা !
আহা কি দীর্ঘ-
আকাশ অবধি যার বিস্তৃতি।
জুলাই ১৪,২০২১
টরন্টো, কানাডা