অস্তাচলের পথিক
রোদ মাখিয়ে দিবসে অস্তাচলে অন্য দেশে যায়
দ্যুতি ছড়ায় রক্তিমা অন্ধ কূপে স্নান করে রাতে
এক পাড়ে ডুবে অর্ক অন্য প্রান্তে ঝিলিমিলি মাতে
ঘনিয়ে আসা তিমির উদাস সুরে রাত্রি জাগায়।
ক্লান্ত হয় কোলাহল বিহগীও নীড়ে ফিরে সাথে
তামসী ঘোর গুটিয়ে ঘুমায় নিজ তৈরি বাসায়।
পনেরো দিনের চাঁদ রাতুল আভায় জ্বলে ওঠে
নয়ন কাড়া মুগ্ধতা আখ্যান তার জোছনা রাত
পূরিত তমে হতাশা প্রভা ছড়ায় ঝিলিকে বাত
স্নিগ্ধ বায়ু সমতলে উর্ধ্ব অম্বরে নীরজা গুটে।
মায়া ভরা এ ধরিত্রী চক্রাকারে মেতে হয় কাঁত
হরষ দোলকে অন্ধ দীপিকাআভা মঞ্জিমা ছোটে।
উদর দায়ে জেলেরা সাঁঝ শেষে দৌড়ায় সাগরে
সঙ্গে থাকে জাল থলে হাঁটুর ওপরে লুঙ্গি বাঁধে
শিকারি নেশায় ছোটা হেঁটে চলে নির্ভীক অন্তরে
উত্তাল সৃতির বুকে শুধু প্রাণ বাঁচানোর সাধে
শৈত্য ধারায় কাঁপুনি জেলে পথিক কুহা চাদরে।