নারী!!!
তোমায় দিবসে শ্রদ্ধার আবেশে,
বানাচ্ছে পুজ্য দেবী।
রজনী গভীরে, তাদের নজরে
কেবল ই যৌনসেবি।
সর্বোচ্চ সন্মান দিয়েছে
কেউ বস্তা/ঘরবন্দী করে।

আবার করেছে গন্য
বিক্রয়ের সেরা পন্য।
মাংসের রমরমা বাজারে।
দর হাঁকায় হাজার ডলারে।

কর্পোরেট দুনিয়ায় মুল্যবান তুমি
পন্যের চেয়ে অধিক।
তোমার রূপ দেখিয়ে নয়ন ধাঁধিয়ে,
লোটে মুনাফা। ধিক!!
হইওনা কারো হাতের গুটি
লোভে অর্থ-যশ-খ্যাতি।
মানুষ হিসেবে তুমি ততটুকু ই
যতটা একজন পুরুষ জ্ঞাতি।

হাওয়ায় ফুলিয়ে, ভুলিয়ে ভালিয়ে,
লোভের মুলো ঝুলিয়ে,
জানাচ্ছে তুমি অতি দামী।
অতি মূল্যয়ন সকল নষ্টের মুলে
জীবনে নিয়ে আসবে সুনামী।

নারী স্রষ্টা, নারী অন্তঃদ্রষ্টা,
হতেই পারে কিছু পথভ্রষ্টা।
নারী গড়তে পারে, করতে পারে সৃজন।
যদি পায় সঙ্গপাশে কোন আপন সজ্জন।

সে ভালবাসায় ফুটাতে পারে মরুতে কমল।
ফের, তুলে ফনা-ছেড়ে বিষ, নষ্ট করে বিমল।
সৃজিতে পারে সাধারনে কবিত্ব, ফুটিয়ে শতদল।
ধ্বংসিতে পারে কাব্যপ্রতিভা ব্যায়ে খানিক ছল।

সৃষ্টি চরাচরে সে রহস্যের আলো-আঁধারি।
সকল কর্মে বর্মে ধর্মে সে প্রতিষ্ঠিত ঈশ্বরী।
তুমি কন্যা তুমি জায়া তুমি হে জননী।
করুক সবে পন্য তবুও শ্রদ্ধায় প্রনমী।