“দোহাই, দোহাই, আমি যাই
তুই পিছনে থাকরে ভাই।”
একথা কি বলা যায়?
বলা হলে বৃথা তাই।
এ হলে জুটিবে ঝাঁটা ।
জানে না টা কোন সে ব্যাটা?
বলি তাই “ওঁরে ভাই,
কেন বৃথা হায় হায়-
বিধাতা, যা দেবার লিখে দিয়েছে
তারই হিসাব চেয়েছে।
যা আছে কপালে লেখা
তার তুমি পাবেই দেখা।
দুনিয়াতে কি আর আছে
মারা গেলে সবই মিছে।”
হলে কেহ ভদ্র, লবে হরে সদাচার
“তুমি ভাই মুক্তিদাতা ধরা কত কদাকার।”
হলে কেহ বেয়াদব, যে দেখে কি আছে সব
“ভাল কথা , ভাল কথা
মিছা মিছি মাথা ব্যথা।
দুনিয়াটা বেমানান
তোঁমার-আমার মতন।”
অতঃপর- সে(বেয়াদব) বুঝিবে; খুঁজিবে
ধরার এফোঁড় ওফোঁড় ঘেঁটে ঘুঁটে বেড়াবে।
বলিবে, “এত এত কত কত
এত কিছু আছে যত-এ ধরাতে
আপনি কেন নিজে ভোগরত?”
“কত বড় বেয়াদব!
ছোটলোকের বাচ্চা, কলবে জং
ধরেছে, সাচ্চা ব্যাটা সাচ্চা
দিল, যদি না থাকে, অযথাই
তোদের দরকার এ পৃথিবীর নাই।”
আর সেই আমি- বহুদিন পর
গুছায়ে আপন ঘর
সাঙ্গ করে হেন খেলা
একেলা বিদায় বেলা;
আজি ভাবি “আছেতো সবই
চলে যাব কিছু দিয়ে যাই
এ বেয়াদব পাড়ায়
আজ সত্যি আমি বড় অজানার সাথি
সেথা বোঝা বহনের লাগি চাই হাতি
তাই ,যাই পরিজন ভুলে
দিল খোলা দিলে
সব ওয়াকফ, করি মহান দাতা
জগতে আমি ছিলাম সাক্ষাৎ বিধাতা”