তুমি নেই, তবু আছো— হাওয়ার মৃদু স্পর্শে,
যেমন বসন্তের বাতাসে মিশে থাকে কদমফুলের ঘ্রাণ,
বৃষ্টির একটানা সুরে, যেমন রাত জেগে থাকা কোনো
পথিক শুনতে পায় সান্ত্বনার গান।

আমি যেখানে তাকাই, শুধু তুমি— আকাশের গায়ে
সোনালি মেঘের মতন উঁকি দাও,
নদীর জলে বিকেলের রোদের মতো প্রতিফলিত হও,
মনে হয়, তুমি আমাকেই দেখছো, আমাকেই ডাকছো!

তোমার ছোঁয়া পাই গোধূলির রঙে,
যেমন সূর্য বিদায় নিলে আকাশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে লালিমার আঁচ,
তোমার হাসি শুনি ভোরের পাখির কণ্ঠে,
যেন প্রতিটি দিন নতুন আশার বার্তা নিয়ে আসে আমার জন্য।

আমি লিখতে বসি—তুমি শব্দ হয়ে আসো,
যেমন নদীর ঢেউ তীরে এসে নিজের অস্তিত্বের গল্প বলে,
চোখ বুজলেই দেখি—তুমি স্বপ্নের রঙ,
যেমন শিশিরবিন্দুর ভেতর সূর্যের আলো সাতরঙা হয়ে ফুটে।

তোমাকে ছুঁতে চাই—তুমি বাতাস হয়ে উড়ে যাও,
যেমন তালগাছের পাতার ফাঁক দিয়ে দিগন্তের বাতাস খেলে যায়, তোমাকে খুঁজতে চাই—
তুমি রাতের নক্ষত্র হয়ে জ্বলো, যেমন পথ হারানো যাত্রী
অন্ধকারে তারা দেখে দিশা পায়।

আমার প্রতিটি শ্বাসে মিশে আছো,
যেন কোনো এক দূর সমুদ্রের ঢেউ
গোপনে এনে দেয় নোনতা হাওয়া,
যেন নদীর স্রোত জানে, তার গন্তব্য সমুদ্রের গভীরতা।

তুমি নেই, তবু আছো—
চাঁদের মৃদু আলো হয়ে আমার জানালার ফাঁকে,
নিভে আসা প্রদীপের কাঁপন হয়ে নিশীথের বুকে,
যেন গভীর রাতে জেগে থাকা কোনো এক প্রেমিকের স্বপনে।

তুমি আমার গান হয়ে, আমার কবিতা হয়ে,
আমার প্রতিটি শূন্যতার ভাষা হয়ে রয়ে গেছো,
ভালোবাসা হয়ে রয়ে গেছো;
নেই তবুও আছো!!