আমার কবিতা দগ্ধ হোক—
রক্তিম সূর্যের তাপে ছাই হয়ে উড়ুক বাতাসে,
ধুলো হয়ে মিশে যাক শহরের কোলাহলে।
আমার কবিতা বিদীর্ণ হোক—
বিস্ফোরণের আঁচে ছিন্নভিন্ন হয়ে ছড়িয়ে পড়ুক রাস্তায়,
দেয়ালে লেগে থাকুক ধোঁয়া আর অগ্নির চিহ্ন।
আমার কবিতা রক্তাক্ত হোক—
সীমানার কাঁটাতারে আটকে থাকুক নিঃশেষ হয়ে,
একটি নামহীন সন্ধ্যার সাক্ষী হয়ে ঝুলে থাকুক নীরবে।
আমার কবিতা পদদলিত হোক—
শোষকের বুটের নিচে পিষে যাক নীরব প্রতিবাদ,
পিচের রাস্তার মতো গলে যাক ক্ষমতার উত্তাপে।
আমার কবিতা ভেসে যাক—
অবরুদ্ধ গলিতে, কোলাহলমুখর জনতার ভিড়ে,
শব্দরা দিগন্তে ছড়িয়ে পড়ুক বিদ্রোহের বার্তা হয়ে।
তোমাদের আয়েশি জীবন,
সাজানো সংসার, অট্টালিকার ছায়া—
আমি কিছুই পরোয়া করি না।
তোমাদের সংযত মুখ,
প্রশ্নহীন চোখ, অনুশোচনাহীন ক্লান্তি—
আমি কিছুই পরোয়া করি না।
তবু আমি থামতে পারি না—
কারণ, যে শিশু অনাহারের অন্ধকারে আশার আলো খোঁজে,
কারণ, যে নারীর স্বপ্ন রাতের আঁধারে নিলামে ওঠে,
কারণ, যে তরুণ শৃঙ্খল ভাঙার প্রত্যয়ে আগুন বয়ে নিয়ে চলে।
এরা আমার ভাই, এরা আমার বোন,এরা আমার সব।