এ জন্মে তোমার দেখা পেয়েছি—এ আমার আকাশছোঁয়া ভাগ্য, তোমার হাসির জ্যোৎস্না গায়ে মেখেছি—তাও কি কম প্রাপ্তি? প্রেমহীন ছায়াপথে, তুমি ছিলে ধ্রুবতারার মতো দূরে,
তবুও হৃদয়ের দিগন্তে তুমি ছিলে একমাত্র সূর্য।
তোমার হাসি ছিল আমার ঋতুপরিবর্তনের গান,
তোমার চোখের পলকে লেখা ছিল অজস্র অমর রাত্রির নাম।
তোমার কণ্ঠে শুনেছি ‘না’—সেই প্রতিধ্বনিও ছিল প্রেম, প্রত্যাখ্যানের সে রঙে এঁকেছিলাম ভালোবাসার লেনদেন।
তোমার চোখের মায়ায় ডুবেছি—এ আমার স্বর্গস্বাদ,
তোমার না বলা কথার ভেতরেই খুঁজেছি হৃদয়,
তোমার অবহেলায় ভীষণ কেঁদেছি একা,
যেমন নদী কাঁদে পাহাড় ভেঙে—
হায়! তাহলে কি ভুল ছিল তোমারে দেখা!
তোমাকে ভালোবেসেছি—এ আমার সৌভাগ্য,
নিরব ভালোবাসা ছিল আমার আত্মিক ধর্ম,
এ আমার অন্তিম পূজার সাধ, তোমার পদচিহ্নে রেখেছি পবিত্র আবেগের প্রান্তর, হয়ে উঠেছি মত্ত উন্মাদ!
তোমার ছায়া নিয়ে লিখেছি হাজার ছন্দ,
ভাবনায় গড়েছি নীরব প্রেমের গন্ধ। তবুও এই জন্মে তোমার ভালোবাসা পেলাম না— এ এক পরিণত অপ্রাপ্তির নাম,
এ আমার দূর্ভাগ্য। ভীষণ দুর্ভাগ্য।