আমি আগুন, আমি ঝড়, আমি ধ্বংসের বিভীষিকা,
শোষণের শৃঙ্খল ভাঙতে এসেছি, নিয়ে পুড়ন্ত প্রতিশোধ।
এই শহরের অলিতে গলিতে জমে আছে কান্না,
শিশুরা ক্ষুধার্ত, মায়েরা বিবস্ত্র—
আর একদল নরপিশাচ হাসে রক্তাক্ত উল্লাসে!

আমি শুনেছি সেই নারীর চিৎকার,
যে রাত্রির আঁধারে বিধ্বস্ত হলো পুরুষের পাশবিকতায়,
তার শরীর ক্ষতবিক্ষত, তার আত্মা বিদীর্ণ,
তবুও সমাজ বলে— সে দোষী!

আমি দেখেছি ক্ষুধার্ত শিশুর মুখ,
যার হাতে বই থাকার কথা, আছে শুধু শূন্য থালা,
যার চোখে স্বপ্ন থাকার কথা, আছে কেবল
জীর্ণ পোশাকে মোড়ানো মৃত্যুর প্রতীক্ষা!

আমি দেখেছি সেই কৃষকের মুখ,
যার রক্ত চুষে নেয় শোষকের দল,
যে পুড়ে মরে রোদে, মেঘের কাছে চায় করুণা,
তবু সে নিজের ফসলের দানা ছুঁতেও পায় না।

আমি দেখেছি ভিক্ষুকের হাত,
যে সভ্যতার দরজায় কড়া নাড়ে,
কিন্তু রাজপথে গরদের ভিড়ে
তার ঠাঁই হয়না, তার কণ্ঠরোধ হয়।

আমি দেখেছি দুর্নীতির বিষাক্ত দাঁত,
যা ন্যায়ের রক্ত শুষে নিচ্ছে প্রতিদিন,
সাদা পোশাকের আড়ালে কুৎসিত মুখ,
যারা দেশের হাড় ভাঙা শ্রমে পা মুছে নেয়!

আমি দেখেছি অহংকারের অট্টহাসি,
যেখানে ক্ষমতার সিংহাসন গড়া দুঃখীদের হাড়ে,
যেখানে সত্য চাপা পড়ে মিথ্যার ভারে,
আর ন্যায়বিচার বিক্রি হয় দরজার ওপারে।

আমি এখন আর চুপ করে থাকবো না!
আমি আগুন হয়ে জ্বলবো রাজপথে,
আমি ঝড় হয়ে ভাঙবো শক্তিমান প্রাসাদ,
আমি রক্ত হয়ে ফুটবো নির্যাতিতের শিরায়!

আমি প্রমিথিউস হয়ে দেবতাদের কাছ থেকে আলো চুরি করে আনবো।
আমি হারকিউলিস, শেকল ছিঁড়ে ন্যায়ের পথে হাটবো
আমি স্পার্টাকাস হয়ে শাসকের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত করব।
আমি জিউসের বজ্র, অন্যায়কে পুড়িয়ে ছাই করে দিবো।

আমি বিদ্রোহ, আমি প্রতিশোধ,
আমি সেই রূঢ় কণ্ঠস্বর, আর আমার কলম চির বিপ্লবের অস্ত্র।