ওই দেখো—
বজ্রপাতে দুই ভাগ হয়ে যাওয়া শতবর্ষী বৃক্ষ,
তার এক অংশে পচন ধরেছে,
অন্য অংশে পাখিরা বাসা বাঁধেনি বহুদিন!
দেখেছো—
শ্মশানের ধুলোয় ঢেকে থাকা
পুরনো মণি-মুক্তোর মতো পড়ে আছে বিস্মৃত নাম,
নির্বাক পাথরে খোদাই করা শোকগাথা।
দেখো — এখানে বাতাস শব্দহীন,
যেন সঙ্গীতহীন বেহালার তার,
যার মধ্যে কেবল জমে আছে
এক অতল নীরবতার ক্রন্দন!
দেখোনি ?তোমাদের করতলে যে ছাঁচ গড়েছো,
সেখানে রোদ পড়ে না,
জ্যোৎস্না এসে ফিরে যায়
এক নির্বাসিত প্রেমিকার মতো!
একদিন, এই ছাঁচ ভেঙে যাবে,
ঝড়ে উড়ে যাবে আত্মহত্যার সমস্ত পথ
তবে তোমাদের নির্মিত কারাগারের এই তালা—
ভালোবেসেছে তোমাদের, তাই মুক্তি অনর্থক!
খুঁজে দেখো —
মরুভূমিরও মাঝে একলা কুয়োর জল!
অন্যথায় তা শুকিয়ে যাবে
এক ব্যর্থ প্রতীক্ষার মতো।
মৃত্যুর ছাঁচে ঢেলে যাবে কঙ্কাল
তোমাদের স্মৃতি আর নির্বাক সময়ের ধুলো,
শুধু ভেতর জমে থাকবে শূন্যতা আর
এক অনিঃশেষ দীর্ঘশ্বাস!