সময় একই, কিন্তু মুহূর্ত আলাদা।
কি করে? বলো! তুমি বাঁচো
সজীবতায়, কেন আমার হৃদয়
আছড়ে মরে?

তুমি মুহূর্তের গুণে
পূর্ণিমা দেখেছো, মেখেছো ভোরের আলো।
আমিও একই গুনে দেখেছি
অস্তাচল তপন, অমাবস্যার কালো।

এভাবে হলে কেমন হতো?
দুজন দু'মেরুতে না থেকে বরং
এক দ্বারগামী!
নাকি এভাবে লেখেননি আমার অন্তর্যামী?

কী যেন একটা ঝড়
সব এলোমেলো করে দিয়ে,
তোমাকে আমার অগোচরে
নিয়ে গেলো সরিয়ে, বহুদূরে।

আজ তুমি নবীন, রঙিন,
ব্যস্ত প্রজাপতি, সবুজ ঘাস,
আর আমি তুমিহীন, ক্ষুধার্ত ভিখারী,
বারোমাস দেবদাস, জীবন্ত লাশ।

বিশ্বাস করো, যেখানেই যাও,
দু'হাত বাড়িয়ে কল্পনায়
জড়িয়ে অনবরত বলবো—
ভালোবাসি!

হয়তো শুনবে না সেই চিৎকার,
বুক ফাটা হাহাকার,
তবুও থামবো না আমি,
মানবো না তোমার কোনো বারণ।

যদি জিজ্ঞেস করো,
কি তার কারণ!
তাও বলবো—
ভালোবাসি, শুধু ভালোবাসি!