গহন চন্দ্রালোকে, নীরবতার শাণিত তলে,
অন্ধকারের শপথে লেখা এক নতুন বাণী।
রক্তমাখা প্রান্তরে চাঁদের বিষণ্ণ ছায়া,
জীবন ও মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে বাজায় যুদ্ধের বাঁশি।

তপ্ত রাতের নিঃস্ব শ্বাসে, গুমরে ওঠে মহাকাল,
আলোকের চিরস্থায়ী পরাজয়ে জেগে থাকে আঁধার।
তারার উজ্জ্বলতায় লুকানো বিষাদের শিকল,
চাঁদের হাসি যেন অভিশপ্ত রাজ্যপালের পরিহাস।

স্রোতহীন সাগরের ক্রুদ্ধ জলের ঢেউ,
মনে করিয়ে দেয় দুঃস্বপ্নের জ্বলন্ত কাহিনী।
চাঁদের আলোয় দেখা মৃত সৈনিকের মুখ,
সময়ের শূন্যতার মাঝে ইতিহাসের বিদ্রূপ।

অপরূপ সে চন্দ্রালোকে, সৌন্দর্য নয়—
বিষাদ আর গম্ভীরতার রাজ্য প্রতিষ্ঠা পায়।
যেখানে প্রতিটি আলো হৃদয়ের শোকালাপ,
আর প্রতিটি ছায়া এক অমোঘ দণ্ডাদেশ।