কবিকে কষ্ট দিও না হে নারী,
সে তো পাহাড়ের ঝরনা,
যে নিরন্তর বয়ে চলে,
তোমার এক আঙুলের ছোঁয়ায়
হয়ে ওঠে মুক্তার ফোঁটা।
কবিকে কষ্ট দিও না হে নারী,
সে তো শিউলি ফুলের মতো,
ভোরের শিশিরে জেগে ওঠে,
তোমার অমনোযোগী বাতাসে ঝরে যায়,
মাটির বুকে নিঃশব্দে মিশে যায়।
কবিকে কষ্ট দিও না হে নারী,
তার মন নদীর ঢেউ,
যে তোমার চন্দ্রালোকে ঝলমল করে,
কিন্তু একবার যদি তুমি কালো মেঘ হয়ে আসো,
সে তো ঝড়ের আগে নিস্তব্ধ হয়ে যায়।
কবিকে কষ্ট দিও না হে নারী,
সে তো বনফুলের সুগন্ধ,
যে তোমার জন্য বাতাসে নিজেকে বিলিয়ে দেয়,
কিন্তু তুমি যদি পাশ কাটিয়ে যাও,
সে নিঃশব্দে শুকিয়ে যায়,
তবু অভিযোগ করে না।
কবিকে কষ্ট দিও না হে নারী,
সে তো সন্ধ্যার আকাশ,
যেখানে সূর্য ডুবে যায়,
কিন্তু আলো রেখে যায় তোমার জন্য,
শুধু তোমার একবার ফিরে তাকানোর আশায়।