উপকথা হয়ে গেছে রূপকথা
শম্পা ঘোষ
ভালোবাসার পাহাড় নিয়ে
বসে আছো উচ্চ শিরে
তবে কেনো কাঁদছো বসে
একা একা শূন্য নীড়ে।
যে নীড়েতে প্রমাণ রাখো
হাজার হাজার উপকথা
কাটাকুটি করছো বসে
ভরছে দেখো সাদা খাতা।
সাদা খাতায় রঙ বুলিয়ে
আঁকছো কেনো অলীক স্বপন
ভাঙ্গছে সবি গড়গড়িয়ে
সাজিয়ে রাখা মনের কথন।
কথন বলে গাঁথছো কত
ফুটে ওঠা মনের ভাষা
লোক দেখানো নামটি করে
খেলছো কেবল নতুন পাশা।
পাশার গুটি মুঠোয় ভরে
দান ফেলেছো কত চাল
সুর কেটে যায় অমিল হলে
মেলে না তখন কোনই তাল।
তালে তালে জীবনটা তাই
নাচছে নিজে নাচাই যত
পায়ের নূপুর পড়লে খসে
নানান লোকে হাসবে কত।
নূপুরের এই রিনিঝিনি
শুনতে কি পায় সবাই কানে
তবুও কেনো পা ছুটে যায়
অজান্তে ঐ কিসের টানে।
আপনভেবে স্রোতের টানে
বয়েই চলো সেই মোহনায়
মাঝির সাথে নৌকা বিহার
ভিজিয়ে দিলো নীল জোছনায়।
যে জোছনা শান্ত থাকে
লুকিয়ে রাখে মনের ব্যথা
রাত্রিটাকে ঘুম পাড়িয়ে
লিখেই ফেলো রূপকথা।
রূপকথারই বুকটি চিরে
জন্ম নেবে এক কাহিনী
এসো ওগো এসো পাশে
বলো না গো ও সজনী।
***************
***********
*******
****