শ্রমিকের ফ্ল্যাশব্যাক
শম্পা ঘোষ
কি অদ্ভূত,সত্যকে চাপা দিতে
কি কসরত
খুলে গেলো নগ্নতা-
সবই তো বিজনেস
সুদূর প্রসারী মুনাফার আশায়...
খোলা চোখে ধরা পড়লো ভুল!
মুখে গুঁজে দিলো টাকার অফার
বসলো সন্ধিতে,
আপোষের ছাঁচ কাটলো বিরাট নকশায়।
মালিক আমি কত কষ্ট করে করেছি সৃষ্টি
তুমি শ্রমিক শুধু কর্ম করে যাও
ভাগ্য দেখবে উপরওয়ালা-
নাঃ...নাঃ...আমি নই,
ঐ যে ঈশ্বর...
শ্রমিক তাতেই খুশি
কিছুক্ষণের জন্য এসি ঘরে একই টেবিলে
পাশাপাশি দুটি চেয়ারে বসার সুযোগ আর
কোকোকোলার গ্লাসে চুমুক,
ভাবা যায় না!
এ যে বড় দুষ্কর।
আত্মতৃপ্তি- আত্মগ্লানিকে চেপে ধরে,
ব্যবসাদারের মগজ আর শ্রমিকের শক্ত হাত
এখন ব্যস্ত সমঝোতায়...
মুনাফা এখন রমরমিয়ে,জমছে মালিকের তহবিলে
তবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দু-একটা শ্রমিকের নাম ওঠে
বোনাসের তালিকায়।
মালিক কি এতই কাঁচা?
তাই বেশ কিছু তাবেদার বহাল থাকে সর্বদাই
যারা উঠতে বসতে মাথা নাড়ে...
আর ওরা সময় পেলে-
যে যার নিজের মত পকেটে বেশ কিছু ভরে।
মালিকও সেটা ভালো করে জানে
এবং ভালোওবাসে
এ সবের ছাড় আছে
সোজা কথায় ওকে বলে
বিজনেস পলিসি...
তুমি বড় বোকা শ্রমিক
তাই ভুল করে-করে ফেলেছো নালিশী।
(ক্রমশঃ চলবে)
*****************
*************
*********
*****
*