সবটুকু তোকেই ভেবে (৩০০তম কবিতা)
শম্পা ঘোষ
ও বেহিসাবী ভাবনারে তুই
পরনা একটু পোশাক
চল তোর জন্য শাড়ি কিনবো
দোকানের নামটি যে তার বসাক।
শান্তিপুরি শাড়ির ভাজে
সাজিয়ে দেবো যখন
তুইও তখন ভাববি বসে
আমি দেখতে ছিলাম এমন?
আধুনিকতার প্রসাধনী আর
দেবো না তোর গায়ে
তুই যে আমার সোনার বরণ
তোকে আলতা পরাবো পায়ে।
তোর কপালে লাল টিপেতে
জ্বল জ্বল করবে মুখ
বাংলা ভাষা তোর অঙ্গ জুড়ে
হাজারো শব্দ কুড়াবে সুখ।
সিঁদুর,শাঁখা,পলা,লোহা
এয়োতিকে দেয় শোভা
নিয়মটা না হয় বড় সাবেকি
তবুও ঐতিহ্য দেবে যে প্রভা।
পূজার থালার উপকরণে
থাকবে শুদ্ধ একটি মন
তার সঙ্গে বেটে দেবো
হলুদ আর চন্দন।
তোর আঁচলের খুঁটের মাঝে
থাকবে চাবির গোছা
মাঝে মাঝে আটকে যাবে
খাবি হয়তো খোঁচা।
বধূর বেশে যখন রে তুই
যাবি ওরে হেঁটে
তোর লাবণ্যে উঠবে ভরে
লজ্জা ঝরবে ঠোঁটে।
সন্ধ্যা বেলায় প্রদীপ হাতে
তোকে তুলসী তলায় দেখবো
সেই ভাবনায় ভাবতে যে চাই
সেই রূপটি বসে আঁকবো।
কারা যেনো বলছে দেখি
আটপৌরে এ সব ভাবনা
আমি বলি ওটা আমার
তোমরা বেশি ভেবো না।
ভাবনার আবার একাল-সেকাল
পারি না কিছুই ভাবতে
আমি জানি মায়ের রূপটি
পারি যে আমি দেখতে।
মায়ের দেওয়া ভাষায় আমি
ভাবতে শিখেছি প্রথম
সেই সুগন্ধে ভরাই এই মন
ফুটিয়ে তুলবো কদম।
আজ অবেলায় একা বসে
মন যাচ্ছে ওরে ছুটে
ভাবনা দিয়ে রাখবো ভরে
আমার মনের করপুটে।
********
*****
**
!
"৭-১৭-১৭"