শহর আমাকে করেনি আপন
  শম্পা ঘোষ

কোলাহল আমায় ক্লান্ত করে
     শান্ত করে না মন
হাতছানি দিয়ে ডাকতে থাকে
    ঐ শীতল ঘন বন।

জমাট কুয়াশা শহরের বুকে
  ঢেকে দেয় নীল আকাশ
অবরোধ করে শ্বাসের দুয়ার
   লুকিয়ে পড়ে বাতাস।

চাঁদের আলো গুমরে ওঠে
   অভিমানী ভরা মুখ
নগরবাসী বুঝবে না স্বাদ
  জ্যোৎস্নার অপরূপ।

কৃএিম আলোয় ঝলসানো চোখে
    জেগে থাকি দিনরাত
শ্রাবণ ধারায় ভিজানো দেহে
   বাড়ায়নি কেউ হাত।

একঘেয়েমির অবসাদখানি
     বন্ধ করেছে কথা
অট্টালিকারা দাঁড়িয়ে আছে
  তুলেছে কেবল মাথা।

সড়ক পথে চলেছে ছুটে
  দামী দামী যত গাড়ি
ব্যস্ততার মুখোশ এঁটে
  হৃদয়ে ব্যথা ভরি।

আধুনিকতার চাপে পড়ে আজ
     চাইছি নতুন সুখ
ফেসবুকেতে খুঁজছি যত
  পাই যদি সেই মুখ।

মাশরুমের মত গজিয়ে ওঠে
   চাহিদারা ধীরে ধীরে
মেটাতে গিয়ে সময় পালালো
ভালোবাসা গেলো দূরে।

বদলে গেছে কায়দাকানুন
   তার সাথে মনোভাব
প্রাণ খুলে তাই হাসবো ভাবি
    বন্ধুর বড় অভাব।

শুকনো কান্না চোখেই ধরি
    অভিনয় করি বাঁচার
প্রতিযোগীতার লড়াইয়ে মত্ত
  নিজেকে করছি প্রচার।

জীবন এবার চাইলো হিসাব
  লাভ,লোকসান,ক্ষতি
   সভ্যতার অন্ধকারে
খুঁজছি আলোর জ্যোতি।

শূন্যতার প্রাচীরটাকে
ভেঙ্গে ফেলা বড় শক্ত
পুরবাসির জীবন থেকে
  নিজেকে করি মুক্ত।

  ***********
     ********
       ******
          ***  
এই কবিতাটি "শারদীয়া সমাজ সংবাদ"পত্রিকাতে পূর্বে প্রকাশিত হয়েছে।