যদি আসে ফিরে
শম্পা ঘোষ
নৌপুকুরের জল
করতো টলমল,
আমার মনের কোণে
স্মৃতির বেড়া বোনে,
আমগাছেরা ডাকে
ঐ দুষ্টু মেয়টাকে,
পা ছড়িয়ে বসা
খিলখিলিয়ে হাসা,
অশ্বথ গাছের ছাওয়া
মায়ের আদর খাওয়া,
বাবার হাতটি ধরে
কত যায়গায় ঘোরে,
বকুল গাছের ফুল
বানাতো কানের দুল,
গাছের আতা পাকা
টিয়া পাখিদের ঠোকা,
হয় যে দোলের মেলা
ভিড় সামলানো বড় ঠেলা,
গোবিন্দ বাড়ির চাতাল
হর কৃ্ষ্ণের করতাল,
সারাদিন ধরে
ভক্তরা গান করে,
দীঘির ঠান্ডা জল
গভীর আর স্বচ্ছল,
রাস্তা আছে খোলা
কত যে খেলাধূলা,
ধান গাছের শীষে
ফড়িং এসে বসে,
আলুর সবুজ ক্ষেতে
মন আনন্দেতে মাতে,
পৌষ মাসের শীতে
ভাজা পিঠে খেতে,
মায়ের হাতের শুক্তো
ছিলাম বড় ভক্ত,
দাদার সঙ্গে ঠাট্টা
মাথায় পড়তো গাট্টা,
চোখে জল ভরে
সকলে আদর করে,
নানা রকম জামা
পড়িয়ে দিত মা,
মাথায় বাঁধলে ঝুটি
হেসে করতাম লুটোপুটি,
বন্ধুদের সঙ্গে স্কুলে
মজা করতাম প্রাণখুলে,
ট্রেনের যাওয়া শব্দ
দু কান করি বন্ধ,
মন চলে যায় ছুটে
সে যে আমার জন্ম ভিটে।
*****************
***********
******
***
*