বর্ষা এলে বৃষ্টি পড়ে
বৃষ্টিতে ভেজে মন,
পুকুর নদী ভরে ওঠে
বেড়ে ওঠে যত বন।
গ্রামের মেঠো রাস্তা ঘাটে
থৈ থৈ করে জল,
চাষীর কোমরে গামছা ঝোলে
কাঁধে রাখে কোদাল।
হাওয়াই চটির শব্দ করে
ছেলেরা চলে স্কুলে,
পড়ার বই মাথার উপর
যখন হাঁটু ডুবে যায় জলে।
মাটির ঘর খড়ের চালে
বসে নাকো কোনো পাখি,
সারাদিন ধরে বৃষ্টি ঝরে
বাদুলে পোকারা দেয় উঁকি।
জলের তোড়ে মাছের দল
ডাঙায় উঠে আসে,
আর কই মাছেরা খড়খড়িয়ে
ওঠে তালগাছে।
কুকুর বিড়াল গরু ছাগল
হাঁস মুরগীর ছানা,
গোয়াল ঘরে বন্দী থাকে
মুখে কাটে তারা দানা।
ব্যাঙেরা জানায় বড় খুশি
এটাই তাদের সময়,
গলা ফুলিয়ে হাঁকতে থাকে
দেয় না কোনো কামাই।
হাঁটুর উপর কাপড় তুলে
মহিলারা রুইতে থাকে ধান,
কৃষির মুখে হাসি ফোটাতে
গেয়ে ওঠে তারা গান।
বর্ষার জলে শ্যাওলা ধরে
মাটি নিকানো উঠোন,
ধানের মড়াইয়ে জিয়ন কাঠি
লুকিয়ে আছে চাষীর জীবন।
জলের ধারা চাইলো ছুঁতে
ধানে ভরা ঐ মড়াই,
চাষীর চিন্তায় কপালে হাত
সব আশাটুকু সে হারায়।
******
***
আমার এই কবিতাটি একটি "স্থানীয় সমাজ সংবাদ" পত্রিকাতে
পূর্বে প্রকাশিত হয়েছিল।