উদাসী বাউল গান গেয়ে যায়
মাঠের আলে আলে
পাখিরা সব ঘরে ফিরে আসে
বসে গাছের ডালে।
ধানের ক্ষেতে ঢেউ খেলে যায়
সূর্যাস্তের আলো
রাখাল বালক গরু নিয়ে
বাড়ির দিকে গেলো।
দূর আকাশে পশ্চিমেতে
সূর্য গেছে ঢলে
সন্ধ্যা তখন ঘোমটা দিয়ে
ছায়া ফেলে গাঁয়ের কোলে।
বধূরা সব প্রদীপ জ্বালায়
আলো জ্বলে ঘরে ঘরে
তুলসী তলায় প্রনাম করে
শঙ্খ বাজায় জোরে।
ছেলেমেয়েরা শান্ত হয়ে
বই এর পাতা খোলে
দুষ্টু ছেলে পড়তে নারাজ
ঘুমের ছলে ঢোলে।
ফোকলা দাঁতে মুড়ি চিবোয়
হাতে কাঁসার বাটি
মশার কামড় পড়লে পিঠে
দাদু করে যে ছুটোছুটি।
উঠোনে বসে পা ছড়িয়ে
ঠাকুমা মালা জপে
কানে শোনেনা চোখে দেখে কম
হাতটা একটু কাঁপে।
রান্না ঘরে খুন্তি হাতে
বউ থাকেন বড় ব্যস্ত
কর্তার গলা পেলে পরে
হয়ে পড়েন তিনি ত্রস্ত।
শান্ত হাওয়া স্নিগ্ধ করে
দোলা দেয় গাছে গাছে
শরীরের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়
সারাদিনের অবকাশে।
চাঁপা ফুলের গন্ধ ছড়ায়
বয়ে যাওয়া হালকা বাতাস
সন্ধ্যা তারা মারলো উঁকি
মাথার উপর খোলা আকাশ।
ঝিঁঝি পোকারা মেতে ওঠে
উল্লাস করে যত
সন্ধ্যা এবার যায় যে সরে
রাত্রি হয় যে আগত।
*****
আমার এই কবিতাটি স্থানীয় "সমাজ সংবাদ" পত্রিকাতে
পূর্বে প্রকাশিত হয়েছিল।