অনেক কিছু রইল জমা
  মনের ভাঁড়ার ঘরে
তালা দিয়ে বন্ধ আছে
  জং যেনো না ধরে।

যে কথাটি বলতে গিয়ে
  হয়নি কখনো বলা
সেই কথাটি ঐ ঘরেতে
  আছে দেখো তোলা।

সময় এবার হয়েছে দেখি
  বেরিয়ে আসার পালা।
ভয় পায় না আজকে ওরা
  মনের হয়েছে জ্বালা।

ইচ্ছেগুলো মুখ থুবড়ে
  পড়ে ছিলো চাপা
হঠাৎ করে উঠলো জেগে
বাড়িয়ে দিলো দু পা।

বন্ধ খাঁচায় বন্দী পাখি
  পেলো এবার মুক্তি
উড়তে গিয়ে দুটি ডানায়
  পায়না কেনো শক্তি।

বহুদিনের অভ্যাসটা
   ভোলা বড় দায়
বাইরে এসেও চরকির মত
  ঘুরপাক সে খায়।

দুনিয়াটাকে ছোট্ট সীমায়
    রেখে ছিলো বদ্ধ
সুযোগ পেলো বাইরে দেখার
  তবে কেনো সে স্তব্ধ?

আকাশ তাকে ডাকলো কাছে
    আয় রে ওরে আয়
খুশির ডানায় ভর করে আজ
    দূর সীমানায় যায়।

এবার পাখি ছড়িয়ে দিলো
   উড়িয়ে দিলো ডানা
কোথায় এখন যাবে উড়ে
  কিছুই নেইকো জানা।

বাতাস  তখন বন্ধু হলো
  চললো সাথে সাথে
কোথা থেকে শত পাখি
   সঙ্গী হলো পথে।

খোলা আকাশ মুক্ত বাতাস
   সঙ্গী শত শত
সবার মনের কত কথা
   শুনছি অবিরত।

সব মনেতে রয়েছো বসে
   তুমি আকাশমণি
আনন্দেতে সবাই মিলে
   দাও গো জয়ধ্বনি ।

    *********
        ****
এসো নতুন বছরকে করি আলিঙ্গন
প্রত্যেকের জীবন হয়ে উঠুক খুশির প্রাঙ্গণ।

আমার এই কবিতাটি নতুন বছরে কবিতার আসরকে দিলাম উপহার।
এখানে কবিতার আসর হচ্ছে....আকাশমণি
স্রষ্টা বা এডমিন হচ্ছেন....বাতাস
আর আসরের সকল কবি বন্ধুরা....পাখি বা সঙ্গী।