আমার দিদির কান্ড দেখো
শম্পা ঘোষ
দিদি আমার বড্ড চতুর
ভাবনা পিষে হচ্ছে ফতুর।
দাঁত চিবিয়ে শব্দ খুঁটে
মন নিঙড়ায় শুষ্ক ঠোঁটে।
তার সঙ্গী এখন সঙ্গ ছাড়া
সে বুক ফাটিয়ে জানায় পাড়া।
লেপটে থাকা কাঁঠাল আঠা
খুঁজছে এখন নুড়ো ঝাঁটা।
দিদির এমন কান্ড দেখি
পাগলা হতে একটু বাকি।
আগল খুলে দাঁড়িয়ে থাকে
সেই সঙ্গী যদি ডাকে।
খাঁ খাঁ করে দিদির বুক
দেখা যায় না আর দুখ।
বোনটি হয়ে বলি তাকে
কে ফেললো তোমায় পাঁকে?
যেই না বলা সে কি রাগ
এখান থেকে এখুনি ভাগ।
বলি শুনুন এবার খুলে
কি লুকানো আছে মূলে।
দিদির এখন ভান্ডার খালি
কাব্যতে দেয় জোড়াতালি।
খাতায়-পাতায় তারই প্রকাশ
রক্ত চোষা সদ্য ডাঁশ।
তবুও দিদি সবার উপর
নাক উঁচিয়ে নিচ্ছে খবর।
তিনিই নাকি জাত কবি
প্রথম পাতায় তারই ছবি।
রসদ এখন পেয়ে গেছে
দিদি এখন কাব্য বাছে।
বসে বসে দেবে স্কোর
দিদির ক্ষমতার কত জোর।
পড়ো যদি সুনজরে
টিক মারবে এইসা জোরে।
তুমিও তখন দিদির দলে
ছলে,বলে,কৌশলে।
ধাপ্পা বাজি চলছে আজ
দেখি শুধু দিদির কাজ।
কাব্য নিয়ে ভাজছে মুড়ি
বয়স নাকি চার কুড়ি।
তবুও দিদি ফন্দি আঁটে
বদ বুদ্ধি গাঁটে গাঁটে।
এবার আমি যাই চলে
দেখি দিদি পড়ে কি বলে।
**************
*********
*****
**
!