আমার বাগানে এসো গো তোমরা
শম্পা ঘোষ
মন যেখানে আঁকছে ছবি
ভাবনা দিয়ে ভাবছে কবি।
ছবি,কবি এক মনেতে
আঁকতে থাকে সেই বনেতে।
বনের মধ্যে চড়ছে হরিণ
উড়ছে কত গঙ্গা ফড়িং।
প্রজাপতি পাখনা মেলে
খরগোসেরা লাফিয়ে চলে।
মন বারান্দায় পাখির বাসা
দুটো পাখির যাওয়া আসা।
স্বপ্ন ঠোঁটে বাঁধলো ঘর
লাগলো বৃষ্টি আসলো ঝর।
দুটি ছানা দিলো উঁকি
তারা এখন বড্ড সুখি।
ফুরুত ফুরুত করে তারা
গা ঝেরে পাখনা নাড়া।
গাছের ঝোপে ঘুপটি মেরে
হাঁসি এসে ডিম যে পারে।
কাঠবিড়ালীর কি উৎপাত
টবের ভিতর করে সংঘাত।
লনে ভরা সবুজ ঘাস
উচ্চিংড়ে করে বাস।
নানান বেরি ঝুলছে গাছে
পাখিরা খায় নেচে নেচে।
আপেল,পেয়ার ডালে ডালে
গাছ ভর্তি তারাও ঝোলে।
কাঠবিড়ালী দেয় ঠোক্কর
ওরা যে বড় ফক্কর।
খাক না তারা মেজাজ ভরে
ল্যাজ নাচিয়ে গাছে চরে।
বাগান জুড়ে নানান ফুল
তারই মাঝে ঝুলছে ঝুল।
লেকের জল দিচ্ছে দোলা
বাতাস ভরে মুখটি ফোলা।
বক এসে যে বসে পারে
পায়ে পায়ে হাঁটছে ধারে।
মাছের লোভে থাকে নজর
ধৈর্য্য তার বড়ই প্রখর।
খপাত করে ধরলো মাছ
উড়লো এবার হলো সাঁঝ।
পাইন গাছে কিসের দোল
পেঁচা এসে নিলো কোল।
গভীর রাতে তারই ডাক
সবাই ঘুমে ডাকছে নাক।
আমি শুধু জেগে থাকি
লিখবো অনেক বলবো বাকি।
এই নিয়েই তো আছি ভালো
বন্দী ঘরে দিচ্ছে আলো।
দেখতে দেখতে কাটছে বেলা
আর লাগে না বড় একলা।
ওরে তোরা থাক না সুখে
আনন্দ ঝরে পড়ুক মুখে।
**********
*******
***
!