আষাঢ় শ্রাবণ বর্ষা ঋতু প্রেম জুটি যেন
নানা রুপ রুপান্তরে হয়েছে ঘন বরিষন।
মহাউল্লাসে আকর্ষনে অভিসারে আসে
শ্যামল সমতল মৃত্তিকার নদী বেষ্টিত দেশে।
পূর্ব রাগে আষাঢ় অন্তরীক্ষে কালো মেঘের বক্ষে
তড়িৎ "বিষ বল্লম ছুড়ে" অগ্নি ঝলক চক্ষে।
যেন রুদ্র "ভৈরবী রাগ" গুরু গম্ভীর নাদে
ধমকে ধমকে পূব হাওয়ায় সুর বাধে।
কম্পিত করি প্রান্তর বন মেঘ ডম্বরু বাজায়,
ভারি বর্ষন বারি ঢালে শুষ্ক তৃষিত মৃত্তিকায়।
ধুয়ে মুছে বৃক্ষ পত্র পল্লব ধূলি জীর্ণ জড়া যত
আনন্দ সভা সাজায় প্রকৃতিতে রকমারী ফুলে শত শত।
বৃষ্টি স্নাত সুন্দর পরিবেশে কাশবনে,বৃক্ষশাখে,নিরজনে
সারস,বক পক্ষীকূল "আতুর ডেরা" বাঁধে যতনে।
ঝর ঝর রিমঝিম বর্ষন ধ্বনি অবিরাম অবিরত
আষাঢ় শ্রাবণে দিবানিশি ঝরে একটানা একমত।
মৃত্তিকা গড়িয়ে খাল বিল ডুবিয়ে নামে জল নদী,
উত্তাল তরঙ্গ দোলে নটিনী, তটিনী লীলায়িত নৃত্যে।
দুই তীর ছুঁয়ে ছুঁয়ে চুম্বন হরষে উত্থাল উচ্ছাসে,
জল নুপুর বাজিয়ে আবর্ত আলোড়নে, তটভূমি জনপদ গ্রাসে।
উজান স্রোতে বহুমুখী ধারা মোহনায় আন্দোলনে
মিলিত হয় উন্মত্ত বেগে একত্রে সংযোজনে।
বিপুল তরঙ্গমালা মিলেমিশে এথায় ভাটির টানে ধায়,
অভিসার শেষে স্বপ্নের উদ্দেশ্যে সাগরের বিছানায়।