আজি আমাদের বাঙালী জাতির নবান্ন পার্বন ভোর,
শীতের আমেজে আড়মোড়া ভেঙ্গে খুলেছে সবে দোর।
নাইতে নেমেছে অনেকে আনন্দে-জলাধারে পুকুরে,
ঠান্ডা বাতাসে উষ্ণ জলে উল্লাসে এধারে ওধারে।
পূর্ব পুরুষের প্রাচীনপ্রথা হৃদয়েতে দোলা দিয়েছে,
বুঝি সে অজানা হরষ পরশে মন মেতে উঠেছে।
পরিপাটি হয়ে সকালের রোদে প্রাঙ্গনে বসেছি সকলে,
হাসি মুখে মা নবান্ন অমৃত পাত্রে দেয় ঢেলে।
সুগন্ধি ভেজা আতপ চাল-নারিকেল-বাতাসা-আদা বেটে,
মিহী এ মিশ্রণ বহু যতনে-গোলানো হয়েছে ফেটে ফেটে।
এ সামান্য উপকরণ উপাদান কত যে সুস্বাদু অসাধারণ,
নবান্নের ভোরে যে করেছে পান জানে সে জন।
বহু যুগ আগে ছোটবেলায় এমনি বিশেষ দিনে,
এভাবে করেছি নবান্ন গ্রহণ, মূলত কৃষ্টির সম্মানে।
বাংলার সংস্কৃতি বাঙালি জাতি প্রচলিত রেখেছে যতনে,
কালের বিবর্তনে পালন করে চলেছে নব নব আয়জনে।
তাইতো-একাত্ম এক অনুভবে বাঙালি আত্মীয় সবে,
আমাদের বাংলাদেশ বিশ্বে আজি উঠেছে ফুটে সৌরভে।
ধন্য আমি বাংলাদেশ মোর জন্মভূমি, আমার অতি প্রিয়,
মায়ের সনে রাখি তারে প্রাণে ভক্তি আসনে পূজনীয়