বসে আছি অবসর বেলা একেলা আনমনে
নিরজনে প্রাঙ্গন ধারের খোলা বাতায়নে।
রুগ্ন ধরিত্রীকে ঘিরে প্রকৃতি স্তব্ধ-স্তম্ভিত,
নেই কোথাও জনকোলাহল, নেই বিহগ গীত।
এমন বিষন্ন পরিবেশে বিরহের স্মৃতি মনে আসে,
ধূসর গোধূলির আবছা আলো আধাঁরে বেদনাতে মিশে।
উদাসী দৃষ্টিতে হঠাৎ দেখি কামিনী শাখে থোকা থোকা ফুলে
চঞ্চু বুলিয়ে থেকে থেকে ফুল চুমিছে যেন বুলবুলে!
পরশ হরষে শিহরি কেঁপে কেঁপে ফুল সৌরভ ঢালে
পরিমল বিলাসে নেয়ে সেই সুবাসে দিকে দিকে চলে।
আহা কী আনন্দ মধুর স্মরণ বিভোর বাস্তবতা সনে,
"আকাশ কুসুম" বিকাশে বুঝি কখনো কোন গহন মনে!
তাইতো ধরনীতে মানব জীবন দূঃখ সুখের গভীরে মোহ মমতায়
প্রেমের নিগুঢ়ে জড়িয়ে আছে, অম্লান সৌন্দর্য্য সুষমায়।
আজি বিষ্ময়ে দেখেছি "ফুল বুলবুল" প্রেমের উপমায়,
কত ক্ষুদ্র কর্মের রুপে প্রাণ জুড়ালো শান্তির সুধায়।
বিচিত্র রুপক রুপ দরশন আনন্দ অনুভবে রইনু নিমগন,
বুঝিনি পান্ডুর বরণ দিনমনি কখন দিগন্তে করেছে গমন!
ঐ যে ঘোলাটে গগন মেঘ জীর্ণ অঙ্গদখানি জড়িয়ে গায়,
আজিকের দিবসকে নত নমস্কারে করিছে বিদায়।
ভূবন জীবন আলো ছায়া অসীমের পটে অবিরাম প্রবাহমান
জীবন মরণ দুটি ধারার দুটি তীরে চিরন্তন বিদ্যমান।
বিরহ বেদনায় প্রাণের ক্রন্দন কেবলই ভারাক্রান্ত করে হৃদয়,
নয়ন, নয়নের গভীরে হেরে পরবাসী প্রিয়রে প্রেমের মহিমায়।