বছর তিনেক হলো মা মারা গেছে,
কবর দিয়েছি পাশে,
শিউলি ফুলের চারা লাগিয়েছি,
কবর ঢেকেছে ঘাসে,
জীবিত ছিলো জ্বালিয়েছি শুধু,
কখনো করিনি যত্ন,
হাসি মুখ সেই চলে গেল পরে,
হারিয়েছি মহা রত্ন।
কবরের পাশে বসে থাকি শুধু,
এতিমের জ্বালা বুকে,
জগতের রঙয়ে চোখ ধাঁধিয়েছি,
মরেছে মা অসুখে ধুঁকে।
মাস গিয়ে বছর ঘুরেছে,
ফুটেছে শিউলি গাছে,
দায় সারা গোছে শান্তনা দেই,
কবরে মামনি আছে।।
আজ ভোরে মারা গেলো বড়খালা,
জানাজা গিয়েছি পড়তে,
জানা গেলো মায়ের একি কবরে
বলেছে দাফন করতে।
বড় ভাই গেছে কবর খুঁড়তে,
আমিতো গিয়েছি পরে,
চোখ খোঁজে মায়ের দেহ অবশেষ
কবরের গুহা ঘরে...
জানা গেলো হাড় মেলেনি মায়ের
করোটি পাঁজর খানা,
কবরখানার দারোয়ান বলে,
আপনার নেই জানা!
তিন বছরে থাকে কি কারো,
হাড্ডি কিংবা মাংস?
পাতালপুরীর গোর খাদকেরা,
রেখেছে কি কোনো অংশ?
খোঁজ নিয়ে দেখি ডাক্তার যারা,
যায় লাশ কাটা ঘরে,
কবরের হাড় চুরি হয়ে যায়,
পেকে গেলে দাম চড়ে।
নিজেকে অনেক হামবড়া ভেবে
করেছি তো বাহাদুরী,
আমার মায়ের কবরের হাড়
কখন হয়েছে চুরি?
অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে,
হাড় যারা চুরি করে,
খোদা যেনো দেয় শাস্তি তাদের
একে একে সব ধরে!
বিবেক আমার হটাৎ শুধালো,
তুমি কি অনেক ভালো?
টাকার জন্য তুমি কি কখনো,
করনাই হাত কালো?
ডোম চামারে হাড় চুরি করে
মৃতকে করেছে পণ্য,
আমরাতো হাড় জীবিতর নেই,
নিজের লাভের জন্য।
ভদ্রলোকের মুখোশ পড়েছি,
করেছি তো হাড় চুরি,
নিজের নরক পাতাল কবর...
নিজের হাতেই খুঁড়ি...।।