গুরু তারে এত ভালবাসে-
অন্য সবারে বিনা কাজে নাশে;
একলব্যের পারদর্শিতা দেখে
টেনে নিয়ে গেল গুরুর হিয়া;
গুরু কোথায় জিজ্ঞাসিয়া-
দেখে নিজের মূর্তি;
গড়েছো তুমি যতন করে-
নেই কোন ভুল-ত্রুটি।
আমি থাকতে মূর্তি পূজিছ-
দেব তোমায় শিক্ষা;
আমার কাছে দেও এবার-
গুরুর যত দীক্ষা।।
একলব্যের পরাণ কাঁদলো;
গুরু কি তবে দুখী?
আমি হয়েছি ঋণী?
যা চাইবে দিব-
করবো না ছিনিমিনি।
গুরু ভাবলো, অর্জুনের থেকে-
নেই কেউ প্রিয়,
নেই কেউ শ্রেষ্ঠ।
সেই জিতবে, তাকেই জেতাবে-
শ্রীহরি কেষ্ট।।
হঠাৎ করে বলে উঠলো-
গুরুজি দ্রোণা;
খেয়ে দেখাও তো এই পানি,
যা সমুদ্র থেকেও নোনা।
চাইছি না তেমন কিছু-
আমি এখন-ই,
বিসর্জন দিতে হবে-
ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি।
একলব্যের গুরুভক্তি
দেখলো সবাই মিলে,
চোখের পলকে ছিন্ন-আঙ্গুল
দিল গুরুর হাতে তুলে।
যা চেয়েছো তাই দিয়েছি
হই নি তো নিঃস্ব,
আঙ্গুল বিনাও শ্রেষ্ঠ আমি
দেখবে বিশ্ব।