অসহায় হয়ে শেষে,
অর্জুনকে বলে;
একটু দাঁড়াও তুমি,
সব যাচ্ছি কেন ভুলে?
শ্রীকৃষ্ণ ছিল বসা
অর্জুনের আগে,
তীর মারো সখা
সাত-পাঁচ না ভেবে।
একবারই এমন হবে
পরশুরামের অভিশাপে,
ছেড়ে দিলে ঠকবে তুমি
বুঝবে মরণকালে।

এরপর উপস্থিত হলো
সেই মাহেন্দ্রক্ষণ,
সকল যোদ্ধা হয়ে গেল
মূর্তির মতন,
শ্রীকৃষ্ণ-কর্ণে চলে
কথোপকথন।
কর্ণতো আগেই জানত
শ্রীকৃষ্ণ কে?
বিস্ময় জাগে না তার
ক্লান্তিহীন চোখে।
শ্রীকৃষ্ণের কাছে তাই
জিগায় অকপটে,
কি পাবে অর্জুন-
আমার পরাজয়ে?
তুমি-অর্জুন পার্থে মিলে
রচিলে ভগবত গীতা,
আমি হলাম দাতা কর্ণ-
উলুবনের সীতা।

(কৃষ্ণ বচনঃ
তোমার দান, বাঁচায় মান
রেখেছে অমর করে,
মৃত্যু ব্যথায়, কাঁদবে সবাই
বাকি জীবন ভরে।)