তীরখানা ধরে রাখে
কর্ণকে তাক করে,
ওঠাতে যদি না পারো
আগামী প্রহরে,
ধড় থেকে মস্তক
দেব ছিন্ন করে।
কর্ণ চেষ্টা করে
আরও কিছুক্ষণ,
বসাতে পারে না সে
কাজেতে আর মন।
অভিনয় ছাড়া তার
নেই কোন উপায়,
দেখতে থাকে শ্রীকৃষ্ণের
কখন দয়া হয়?
অন্যদিকে অর্জুন তো
রথেতে দাঁড়িয়ে,
সমানে যাচ্ছে সে
বকবকিয়ে,
শ্রীকৃষ্ণও দিচ্ছে তাই
বারে বারে খোঁটা,
কেমনে মারলো সে
তোমার ছেলেটা!
ষড়যন্ত্র করে তারে
মারলো দশজনে,
সবকিছুই হয়েছে সেথা
কর্ণের সামনে।
কর্ণ ছাড়া কারও
পানি ছিল না যানে,
সমস্যা কি ছিল তার-
এই সামান্য দানে?
আমার ভাগিনারে
বাঁচাতাম আমি,
যদি না সে যোগ দিত
দেখে ন্যাকামি।
বীরের মর্যাদা তার
নিয়েছি কেড়ে,
মেরে ফেলো এখনি
পুরনো কাশ ঝেড়ে।