কর্ণ কি করবে
বুঝতে না পারে,
বেলা যে গড়িয়ে যায়
ধনুকের তারে।
অবশেষে তক্ষক আসে
সূর্যাস্তের আগে,
তিন সর্পের মাথা জাগে
তীরের অগ্রভাগে।
সারথির কথা সে
বিশ্বাস না করে,
তিরখানা তাক করে
অর্জুনের শিরে।
বাতাসে দেখায় তা
আরও ভয়ানক,
শ্রীকৃষ্ণ বলে ওঠে
পার্থঃ তক্ষক।।
অর্জুন তীর দিয়ে
গড়ে প্রাচীর,
সর্পের হুংকারে
হয় চৌচির।
অর্জুনের কাছে এসে
যেই ফণা তোলে,
রথখানা নীচু হয়
ডান দিকে হেলে।
শ্রীকৃষ্ণের পায়ের চাপ
সইতে না পেরে,
রথের চাকা চলে যায়
মাটি ভেদ করে।
শিরচ্ছেদের ইচ্ছা তাই
হলো না পূরণ,
কর্ণ বুঝলো তার
আসছে মরণ।