সূর্যের থেকে নেই কিছু বড়,
নাই কারও বেশি তেজ;
তার আলোয় আলোকিত সব,
সেই তো সবার শেষ।
একদিন ভোরে, ডাক দিয়ে তারে-
গেল সে প্রকৃতির দ্বারে।
স্নান সেরে, নীরবে দাঁড়িয়ে-
স্মরণ করছে বারে বারে।
সূর্যের নামে জপলো মন্ত্র,
করলো প্রার্থনা,
সন্তান যদি দাও তুমি মোরে-
না দিয়ে যন্ত্রণা,
সকল মানুষ জপবে তোমারে,
করবে তোমার কামনা।
সূর্যের হৃদয় গলে উঠলো;
সূর্যদেবের বেশে,
সামনে আসলো উজ্জ্বল মানব-
জ্যোতি চারপাশে।
কুন্তীর কোলে সঁপে দিল তারে,
দিল আশীষ সাথে,
আমার অংশ দিলাম তোমারে-
ভয় নেই মরণেতে।
কুন্তী দেখে হেসে উঠল;
কত সুন্দর মুখ,
চোখের নিমেষে ভুলিয়ে দেয়-
মনের যত দুখ।
হঠাৎ করে স্মরণে আসলো;
হায়রে বিধাতা!
আমার কোলেতে সন্তান দেখলে-
বলবে কুলটা।
পরক্ষণেই বুঝতে পারলো-
এতো দৈব শিশু;
আছে যার কবচ-কুণ্ডল,
কেন পড়ব তার পিছু?
আপনি বাঁচবে, ভগবান বাঁচাবে-
হব না আমি নীচু।।