রাজ্য পেয়ে থাকলো তো
সকলে একসাথে,
কে জানে কখন কাকে
কোন পিঁপড়া কাটে!
যুধিষ্ঠিরই হয়ে গেল
ভিষণ বিরক্ত,
কত দিন আর পান করবো
একে অন্যের রক্ত,
এর থেকে ভালো আলাদা হয়ে
থাকি নিজেতে মত্ত।
অবশেষে ভাগ হলো
স্বপ্নের রাজ্য,
কে জানে কার মন
কতটা দাহ্য?
দুর্যোধনই ভাবলো
হলো কি ন্যায্য?
কৌতুহল বশতঃ গেল ঘুরতে
অনেক বেশি কষ্ট হচ্ছে
নড়তে চড়তে,
চারিদিকে রঙের খেলা
বোঝা মুশকিল,
পা পিছলে পড়ে গেলে
হাসবে খিলখিল।
যা ভাবলো, তাই হলো
দেখলো দ্রৌপদী,
তার মুখে হাসি দেখে
অন্তরে বয় নদী।
শপথ নিলো রাগে জ্বলে
দেব তোর কান মলে,
আসতে হবে আমার কাছে
দেখাবো কোকিল কেমন নাচে!
পাঁচ পতির এক স্বামী
তাই হয়েছে নামি-দামি,
কাকে মারলে কে মরবে-
জানে সবাই কম-বেশি।