কেবলই কর্মে নয়
অন্তরঙ্গে আবদ্ধ থেকেও
সে ছিল পৃথিবীর মতো
সমান্তরাল গতিতে ধাবিত
এ বুঝি কর্মধারার নিবিষ্টতায়
ভালোবাসার মোহিত আবেশ
দেশ কাল পৃথিবী
গ্রাস করে চলেছে
তবু তার প্রতিচ্ছবি
কি ভীষণ উজ্জ্বল সর্বত্র
এক এক প্রদেশের রাজধানী থেকে
অন্য মহাদেশ উপত্যকায়
সীমান্তরেখা বিলীন যে থায়
আমরা ছিলাম
অলিন্দে গোবাক্ষে স্তম্ভে
সোপান শীর্ষ সন্নিকটে
তবু সে ছিল
এক অদ্ভুত আধারে বিমূঢ়
যেমন গোমুখের উৎস অজানা
মোহনায় ব্যাপ্ত গঙ্গা
চির সবুজ এক
প্রাণ পেয়েছিলাম আমরা
যার হাত ধরে তার পরামর্শে
পেরিয়ে এসেছি শত শত
সংকীর্ণ সব চড়াই উতরাই
তার নীল ওড়না
তিস্তার বুক খুঁড়ে এনেছে
কত শত অমূল্য সাত রঙা নুড়ি
শিল্পীর নিপুণতায়
এবড়ো থেবড়ো পাথর
আজ স্থাপত্য ভাস্কর্য
শিল্পী বিদায় নিলে
পড়ে থাকে দীর্ঘশ্বাস
একা একা গুমরে কাঁদে স্থপতি
স্মৃতি হাতড়ায় খোঁড়লে
মহীরূহ পতনে একরাশ সমবেদনা
কুমীরের কান্না ; কোন স্থান নেই সেখানে
যেখানে সেখানে পড়ে থাকে
উত্থান পতনের ডঙ্কা নিনাদ
আর আবর্তনের নিজস্ব রীতির
সরল পথে চলতে চলতে
'সৃজন'- নিজেরই অজান্তে
রেখে যায় সৃষ্টি
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে
যতবার সে নিজেকে সাজিয়েছে
ঠিক ততবার নয়
অন্তত একবার, শুধু একবার
সে নিজের চলার পথে
যদি পিছন ফিরে দেখে
ক্ষণিকের জন্য হলেও সে
আশ্চর্য হয়ে যেতে পারে