বিকেলের সোনার রোদ -
বসবে না, দাঁড়াবে না সে,
এই ভেবে এসে ;
কাটিয়ে গেল, এক পক্ষ কাল ।
দেহ পুড়িয়ে ছাই করে ,
মুখে খাবার তুলে দিয়ে ;
রামধনুর বিছানা সাজিয়ে -
অবশেষে , চলে গেল সে ।
জুই ফুলে, বেল ফুলে -
মৌমাছি প্রজাপতি ওড়ে ;
কাঠবেড়ালির লম্বা ছুট ,
বিড়াল পাছে ধরে ।
ক'সাড় বাঁশ ঝাড় !
তার উপর -
নীল সাদা কালো ;
তিন পরত মেঘের আচ্ছাদন ।
ভেদ করে সে আভরণ ,
বিকেলের সোনার রোদ -
আলোর আলো, আলোয়
রাঙিয়ে দিয়ে গেল ।
নদীর ওপারে বসেছে হাট ,
অনেক আশা স্বপ্ন ঘিরে ।
গোটা দশেক দোকানদার ;
সাজিয়ে পসরা থরে থরে ।
এপারেতে দাঁড়িয়ে -
গোটা দুই খরিদ্দার,
দরাদরি বাছাবাছি
বেচাকেনা, কেনাবেচা করে ।
নদীর জলে -
দোমড়ানো মোচড়ানো
অসংখ্য ঢেউয়ের পরে
বিকেলের সোনার রোদ পড়ে ।
চিকচিক ঝিকিমিকি
ঢেউ গুলি যেন -
দুপাটি দাঁত ,
খিলখিলিয়ে হাসে ।