নবনীর ক্ষীর
মনেরও অধীর
উঠিয়াছে জাগি পরাণের মাঝি ,
অধরাতে শুধু রহি।
সাঝেরও বেলা, মনেরও মেলা
ডিঙা নৌকায় ভাসি
চারিপাশে তার আঁধারের পানি
মুক্তার মতো জ্বলি ।
বিপুলা বিশ্ব , অচলা দৃশ্য
জুড়ায়ে নয়নখানি ।
চলে অবিরাম , রুখি ধুমধুমধাম
রুখিতে নাহি জানি
চলি নৌকৌয় আঁধারের মাঝে
মুক্তার মতো পানি ।
পবনেরও হাওয়া তারি মাঝে মোর
অঙ্গে লভিছে ঠাঁই
আমি শুধু কহি এমনই দৃশ্য
কাড়িয়া লইয়া যাই ।
সন্ধ্যোর তীরে ,অবনীর পরে
নদীতটে কেহ নাই
চলিব আমি দিবারাত্রি
নদীতে নিয়াছি ঠাঁই ,
মাথা গুঁজিবারে চাই ।
কুহু কুহু ডাকে কোকিলার ডাক
এমনও নিশীথও রাতে ,
আমেরও বাতাসে লাগিয়াছে দোলা
মোরি এ হৃদয়ও তটে ।
গগনের পারা
মিটিমিটি তারা ,
থামিয়া থামিয়া জ্বলে
চন্দ্র বিনে সন্ধ্যোতারা ,
আশায় প্রদীপ জ্বালে ।
চলি যাব ভাবি
ডিঙ্গি ছাড়ি
গগনের মহাপথে ,
হাটিব কালে
মহাকাল ধরে
মহাসত্যোর পথে ।
গুনিয়াছি দিন
আছি কতকাল
সময় বড় কম ,
মধ্যো তারি , দেব সে পাড়ি
অনন্ত অতল ।
মাটির প্রদীপ দিয়াছে ভাসান
খরোস্রোতা নদী পানে ,
তপস্যা তার ভাঙিয়া গিয়াছে
আহুতিরই মহাটানে ।