আপনের আড়ালে
       অনাদর ঘিরে,
ছিন্ন আড়ালে
         একলা ঘরে ।

যেখানে আমি একা ,যেখানে কালো সাদা
যেখানে হেসেখেলা ,ভাবনা ছাড়া ছাড়া ,
যেখানে আকাশ ,হাসে না বাতাস ,
রেগে রব ,ছেড়ে সব , দীর্ঘশ্বাস ।

যেখানে মানুষ অন্যরকম ,যেখানে আমি আলাদা
ভীষণ হেসে ,হালকা কেঁদে , চূর্ণ চূর্ণ ছড়া  ।

যেখানে চোখে জাগে না জলের কথা
সমুদ্র চড়ে আসে না আলাদারা ,

এই পৃথিবীর একলা কোনে অন্যরকম আমি
ভীষণ রকম একলা একা থাকি !


নোট:


©Rafia Noor Purbita

যদি আপনি আত্মিক শান্তি চান তাহলে আপনি একা হয়ে যাবেন। আপনি নেগেটিভ ফ্রিকোয়েন্সি‌‌ এর সাথে কোনো interaction করতে পারবেন না। আপনাকে লোভী , অহংকারী, রাগী , ঈর্ষাপরায়ণ , গর্ব ,ইগো আর এটিটিউড ওয়ালা মানুষ ইত্যাদি তমগুণ যুক্ত মানুষ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে হবে । যদি আপনি universal peach ar positive energy এর সাথে align হতে চান আপনি কোনো negativity এর সাথে react করতে পারবেন না ।

যখনি আপনি রাগ করবেন আপনাকে বুঝতে হবে এটা রাগ ,এটা নেগেটিভ ফ্রিকোয়েন্সি‌‌। নিজের আত্মাকে সুস্থ, শান্তিপূর্ণ রাখতে হলে এর সাথে মনকে জড়ানো যাবে না। তাহলে কি রাগকে চেপে রাখবেন? না চেপে রাখা জিনিস বেশি প্রেসারে একদিন ব্লাস্ট হয়ে যায়। ভাবনা মনে আসতেই পারে ,ভাবনাকে আসতে দিন, পর্যবেক্ষণ করুণ ,সময় দিন,তাকে নিজের মতো চলে যেতে দিন।

যখন আপনি কারো সফলতা দেখেন জিনগত কিংবা সামাজিক কারণে আপনার ঈর্ষা নিজের মধ্যে হীনমন্যতা লাগতে পারে। কিন্তু দিনশেষে আপনাকে বুঝতে হবে আপনি আপনিই। প্রত্যেকটা মানুষ আর তাদের গল্প আলাদা , একজনের সাথে অন্যজনের তুলনা অর্থহীন। কিন্তু যখন আপনি ঈর্ষা করবেন আপনার চেতনার স্তরে নেগেটিভ এনার্জি প্রবেশ করবে। আপনার মধ্যে তখন আর শুদ্ধ সত্যের জন্ম হবে না । আপনার শান্তি নষ্ট হবে ।

যখন আপনি অহংকার করেন , নিজের মধ্যে সেল্ফ রেসপেক্ট এর নামে ইগো রাখেন আপনি পৃথিবীর সমাজব্যবস্থার পাল্লায় লড়ছেন আর ভুলে যাচ্ছেন আমরা মহাবিশ্ব ব্যবস্থার অংশ । আপনাকে সৃষ্টিগতভাবে আপনি যা তার মতো করে চলতে হবে ,ক্ষুদ্র পারিবারিক আর সামাজিক অসুস্থ প্রতিযোগিতা আর ব্যবস্থায় নিজেকে আবদ্ধ করে নয় ।

আপনি কি খুব টাকার লোভ করেন ? টাকা জীবনযাপনের একটা সামাজিক ব্যবস্থামাত্র । এর ব্যবহার হয় দৈহিক স্তরে ব্যক্তিকে তুলে রাখতে। কিন্তু মানুষ মুলত চেতনা। যদি আপনার ৩০ percent দেহ হয় তাহলে বাকি ৭০ Percent চেতনা । যখন আপনি এই 30 percent এর জন্য ৭০ percent কে মুল্যায়ন করবেন না ,আপনি অসুস্থ হয়ে পরবেন। Universal love and peach এর সাথে নিজেকে বিলীন করতে পারবেন না আপনি। টাকাকে জীবনের কেন্দ্র বানাবেন না । কারণ তা নশ্বর দেহের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সামাজিক প্রথা মাত্র


প্রকৃতি যে মানুষ কে বানিয়েছে সেই মানুষকে আমরা নির্দয়তা ,নির্মমতা, অহংকার,লোভ ,রাগ ,গর্ব ,রূঢ়তা ইত্যাদি ইত্যাদি খাইয়ে জোর করে খাইয়ে কৃত্রিম মানুষ বানাচ্ছি।

মানুষের ভেতরের মুল শিকড় যা প্রকৃতি থেকে জন্মেছে তা শুধু unconditionally নিজেকে ভালোবাসতে চায় , অন্যকে ভালোবাসা দিতে চায় । মুল মানুষ চায় নিজের প্রতি সদয় হতে ,অন্য জীবের প্রতি সদয় হতে । মানুষ এক আর অদ্বিতীয় এর পথে চলতে চায় , চেতনার উচ্চতা চায় ,আর চায় শ্বাশত শান্তি।


সমাজব্যবস্থা মানুষকে নিজের শিকড়ের কাছে একীভূত করার বদলে মানুষের মস্তিষ্ককে ব্যবহার করে নেগেটিভ এনার্জি দিয়ে , ব্যবহার করে মানুষের তমগুণকে ব্যবহার করে।

আজ যদি মানুষ তার শিকড়কে না ভুলত প্রেম আর ভালোবাসা দিয়ে শিশুর পবিত্র মনের মতো সুন্দর একটা পৃথিবী গড়তাম আমরা । বেঁচে যেত অসংখ্য ঝড়ে যাওয়া বকুল