নারী
অনন্ত পাবকের মতো,লুকোনো গল্পে শব্দের ছায়ার মতো ,
নারী
প্রেমিককে ভেবে স্বামীকে ভোগের মতো ,
নারী
আনাফ্রাঙ্ক থেকে মাদার তেরেসার মতো ,
নারী
লেখিকা থেকে ইঞ্জিনিয়ারের মতো ,
সুদূর সমুদ্রের প্রত্যাঘাতে,উত্তাল ঢেউয়ের আবছায়ে
আধার গগণ রাতে, শয়ে শয়ে আলোর সাথে
বৃষ্টির উত্তাপে জ্যোতিষ্কবালিকার প্রেমে
নগ্ন ভেজা খাটের এ পাশে !
আমি পাই, আমি পাই না
আমি দেখি ,আমি দেখি না
আমি শুনতে পেয়েও পট্টি পরা বধির ,
আমি নারী,পরাধীন পরজীবী শনি
আমি স্বামীর খেয়ে প্রেমিকের মহারাণী !
আমি দাসী,আমি বান্দী,আমি বেশ্যা ,আমি বন্দী
আমি অধিকারহীন,জীবন্ত লাশ,কেনাবেচা মাল সত্যি ,
আমি আধুনিক হয়ে ক্ষয়ে যাওয়া সতী, হিংস্র হওয়া শক্তি ,
আমি কোমল থেকে কঠিন হওয়া, পিশাপ ডাইনী রত্তি !
আমি নারী
আমি কালে কালে শত বেদনা বিধুর জমা হওয়া সব কান্না
আমি দিন রাত সেবা করা হাত , আদুরে হাতের রান্না
আমি সেই নারী,চোখের কাজলে লুকোনো প্রেমের কষ্ট ,
আমি সেই নারী চিতায় জ্বলা ,স্বামীর হাতে দগ্ধ ।
আমি সেই কুমারী , ভাইয়ের হাতে ধর্ষিত বোন সত্য
আমি সেই নারী , পথে ঘাটে লাঞ্ছিত ফুল কত্ত ,
আমি সেই কাঁদা চোখ ,স্বামীর খাটে বেশ্যা
আমি শুকনো সে মুখ , জীবন দেখেনি সত্তা !
আমি সেই পরাধীন, মেঘবালিকা ,বালিকারা করে কান্না
শাসন শোষণে অজাচার পাপে, মানহীন সব বস্তা ।
এমনি জীবন দ্বার ,
পরাধীন তার,ভারে ভারে আর
জ্বলে পুড়ে ছারখার !