মনে বেজেছে চোখে পড়েছে আচমকা প্রায়ই অমানবিক ঘূর্ণিপাকে তুমি।
সত্যির প্রচলে স্থির সৎসাহস যা কিনা তোমার প্রশ্বাসে বিন্দুমাত্র নেই।
এই যে এইমাত্র কিছু একটা নিয়ে তুমি কি যেন বলে ফেললে!
কখনো ভেবে দেখেছো কি বলেছ অপয়া অসহযোগে?
মুখ ভরে যা বলেছ তা আর কখনো ফিরিয়ে আনতে পারবে না মনন।
তোমার বিম্বিত বলা স্বরবর্ণ আর ব্যঞ্জনবর্ণগুলো যৌগিক স্বরে-
বাতাসে ভর করে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে কানে কানে প্রতিধ্বনিত হয়।
কারও লক্ষ্যে কিছু যখন আসে মনে তখন কেন যেন-
তোমার রাগত তেঁতো উত্তপ্ত মস্তিষ্কটা দিক ভুল করে বসে।
মুখ ভরে বিষিয়ে বিঁধিয়ে এভাবেই কি বলতে হয়?
শত্রুঘ্ন বিষ ছড়িয়ে শেষে নিজেকে আর রক্ষা করতে পারেনি।
মন মিশিয়ে যত্নে কারুকার্যে চলা কি তা কি তুমি বোঝ?
নাকি বুঝেও ছুঁড়ে মারো ক্ষণিক দুর্বিষহ দুই ঠোঁটের তির্যক শাব্দিক কম্পন।
তুমি কি জ্বলে দগ্ধ হয়ে যাও ভীষণ ক্লেশে?
বিন্যস্ত হতে তুমি কেন পারো না?
উড়ন্ত শঙ্খচিলের ডানা না চেনে ভাবো-
সুতীক্ষ্ণ চোখের পলক স্থির রেখে শিকারের অপেক্ষায়-
দূর আকাশে কদাচিৎ ঈগল উড়ে।
তুমি ঝিনুকের বুক থেকে মুক্তো সরাতে চাও-
কেন বল দিয়ে তাকে ভীষণ কষ্ট?
জানোতো তারও আছে শব্দহীন আর্তনাদ।
তুমি কেন বুঝতে চাওনা সৃষ্টির আবেগ স্বয়ং ঈশ্বর প্রদত্ত?