সময় নাকি মিথ্যে ঠাহর করে!
তাহলে তবে কোথায় সত্যির শক্তিময় অহংকার?
প্রতাপের আগুনে মানুষ পুড়ে না-
পুড়ে অমানুষ, পুড়ে মনের স্তব্ধ বিকার।
পুড়ে যায় সরে যাওয়া অন্ধত্ব যা কিনা রিক্ত হস্তে বোনা।
মনের কোন সীমা নেই,
নেই যেমন মহাসমুদ্রের ঢেউয়ের কলতানে আঁকা-
সফেদ বালিরাশির উঠা-নামা পরতে পরতে।
মিথ্যে অহংকারে জ্বলে যায় হৃদয়ের উঠোন।
পুড়ে ছাই হয় গতকালের রোপণ করা-
নরম সবুজ পাতার ছোট্ট গাছের প্রাণটিও।
অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকা জীবনের-
গ্লানি মুছে যায় সৃষ্টির অপারে।
যদি পৃথিবী হতো মরুভূমি; জলের পিয়াস কেমন-
মানুষ তবে তা কি বুঝতে পারতো।
যদি মেঘের আঁকায় বৃষ্টি না পড়তো-
মানুষ মরে যেতো খরায় দুর্ভিক্ষে।
বাতাসে যেমন প্রাণের তিয়াস টিকে রয়-
অমনি যেমন ডাকে শিশু মা মা করে,
তখন জানি বুঝা যায় একটি প্রাণের কতো দাম।
সমুদ্র থেকে মহাসমুদ্র পাড়ি দিতে জানে স্রোতের আগুন।
বারংবার ভেসে আসা শোঁ শোঁ বাতাসের কান্না জানিয়ে দেয়-
কাছে মিশো, ভালবেসো- আমি বিশাল তবুও লোনাজলে পাতা-
আমার অহংকার বলে কিছুই নেই,
নদীর সখ্যতার সাথে চুপিচুপি মেঘের দলই ফাগুন।