বাইরে তেমন কেউই নেই আজ-
এমন ঘন কালো অবসন্ন ষোড়শী মেঘলা দিনে।
কপোত পেঁচিয়ে নেই কপোতীর কোমর রিকশার ছাউনি তুলে আর-
পলিথিন জড়িয়ে কিছুটা ভিজে গিয়ে উড়ন্ত আস্ফালনে।
আনন্দবিহার নেই উদ্ভাস নেই কিছুটা আঁধারঘেরা অবসাদে-
নিথর পৃথিবী স্থবির সবখানে।
মলিন ঘরকুনো স্নাত বিকেল চোখ বুজা শিহরণে এপাশ-ওপাশ ক্ষরণে রণনে।
চুপিচুপি কানে বৃষ্টি পড়ার শব্দ যেন বলে যায় কিছু অপ্রকাশ্যে,
অধীর বাসনায় গোপনে আড়ালে রেখে সিক্ত তৃণজা অনুভবে মিশে।
মাটির সোঁদা গন্ধে ব্যাকুল ললনা তার অধীর দু’টি চোখ খোলা আকাশে পাতে।
বাতাসের প্রিয়তায় জোড়া আলিঙ্গন-
মাড়িয়ে যেতে চায় অভিপ্রেত একাগ্র অভিসার প্রতিক্ষণে।
বৃষ্টির কাতর প্রবাহ মেঘের গর্জন যেন থামতে চায় না,
বিদ্যুৎ চমকে চোখ রগড়ে উঠে তাকালে।
জানালা খুলে গালে রেখে হাত-
তনুশ্রী তার প্রিয়র অপেক্ষায় বিষাদে মুখ বুজে আছে পড়ে।
বৃষ্টির অবারিত ধারা ধোঁয়াটে গভীর হয়ে হিমেল বাতাস খুঁজে-
প্রাণপণে ঝরছে মালতীর বীণায় মুগ্ধ সবুজ স্বরে।
এমন দিনে প্রিয়ার কাজলকালো দু’চোখের নীড়ে-
অপলক তাকিয়ে থেকে যেন স্বর্গ দেখা যায়।
প্রেমের আঁখরে চোখ টিপে যেন তাকে কিছু বলা-
হঠাৎ ঝলমলে চুলগুলো এলোমেলো করে দেয়া।
বৃষ্টিদিনে হৃদয়ের তাপ বহুদূরে সরে যায়।
বৃষ্টি কিছুটা থেমে গিয়ে আচমকা যখন রোদে মিশে হেসে আলো জ্বালে-
সমস্ত আকাশটা তখন তন্নতন্ন করে খুঁজে দেখতে ইচ্ছে করে-
কখন না কোন কোণে সাতরং জেগে উঠে আলোজলে।
একটু পরই মিলিয়ে যাওয়া এমনই আবেগি তালে দুলে উঠে মলয়া বাদলদিনে-
শোভিত বৈশাখ রিক্ততা ভুলে প্রণয়ের অধরে ভিজে সংগোপনে।
(বৈশাখের বৃষ্টিস্নাত করোনা-প্রভাবিত এক দিনে লেখা)