যখন ঘুম ভেঙ্গে উঠে দু’চোখ মেলে দেখি বারান্দার খোলা আকাশে
শীতের বাতাসের হাত মুড়ে আকাশ ছুঁতে চাওয়া,
তখন; ঠিক তখন মন খুঁজে নীড় মেঘের দলের ভিড়
কোন দৃষ্টিনীল দূর পাহাড়ে একটি নির্ঘুম রাতের কাব্য জল জোছনায়।
কখনো আকাশ হতে মন চায়
যখন দেখি আকাশে মেঘের নিনাদ আদরের আবদারে
গহীন কোন সীমান্তে নিরালায় নিরিবিলি গভীর রাত কথা বলে।
তেমনি রাতের ঘুমের প্রহরে মাঝরাতের গাল ছুঁয়ে যাওয়া
মিষ্টি চাঁদের আলোর সাথে নীল আবছা ঘন কুয়াসা-
আমি তো একাই নই সবার হৃদয়ে ভালোবাসা খুঁজে ফিরে
হলেও হলো কি তাতে ভুল করে?
পাতার সবুজে কখনো কোন বেলায় ঘ্রাণে আসে
ছোট্টবেলার সেই উঠোনের পাশে লাগানো বেলি আর গন্ধরাজের
অনাবিল সুগন্ধ উচ্ছ্বাসে।
লতায় পাতায় ঘিরে উপত্যকা পাথরের বুক চিঁরে
ফাঁকে ফাঁকে জলের প্রাণান্ত বয়ে চলা মন যে মাতাল করে,
করে অধীর-উদগ্রীব আনন্দে মাতোয়ারা।
সবার চোখ কেন যেন আবারও পিছু ফিরে!
এতোটাই কাব্য প্রকৃতির নির্যাসে,
মনের জানালা খুলে দম-বন্ধ যান্ত্রিক যাপিত জীবনে রচে।
সারাটা দিন অবিচল চলে দেহ খানিক হলেও
কয়েকটি দিনের অঝোর অবসরে।