(শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অমর আত্মত্যাগ স্মরণে)
দুখেরও জ্বালায় পুড়ে মনেরও মন্দির স্মৃতিরও কাতরে অনল পুষে।
বুকেরও স্পন্দন থেমে যায় অজস্র আবেগে কাঁপনে,
নিস্তব্ধ তাঁদের রক্তস্রোত বিষাদের শেষে।
দুহাত যে বাঁধা চোখের সীমানায় কালো সে কাপড় আঁধারে মেশে।
ধমনী কাঁপে বিস্বাদে বিরাগে অনুস্বারে-
নিথর দেহের ফাঁকে ফাঁকে রোপিত বুলেট পিষে।
সুনসান যাপিত দিনের অবশেষে একেক করে ধরে আনা-
জাতিরও মূলধারা,
আক্রোশে নড়ে বিষে।
লুণ্ঠিত সে গৌরব আজ্ঞেয় আজানের ধ্বনি শুনেছে কি শুনেনি-
তার ঠিক নেই।
ওদের মুখ পোড়া একচ্ছত্র ধর্ম কি তাই বলে বিনাশে বিস্ফোরণ জ্ঞাতে?
সর্বঘাতে স্ত্রী সন্তানের মুখচ্ছবি হারিয়ে যাওয়া,
বাবা-মা’র নামটি করে মনে প্রাণপাখিরও সে নির্জলা আক্ষেপে।
যতো রক্তস্রোত আমাদের জাতিত্ব সয়ে যাক না কেন,
তোমাদের বিষণ্ণ জাগ্রত দেহাবশেষ মনে করিয়ে দেয়-
হায়েনারা ছিল কাপুরুষ ওদের বিবাগী আক্ষেপ বালুচরে।
আমাদের সাহসিনী বিধবার বাবাহারা সন্তানের অতুল গৌরব-
ম্রিয়মাণ কখনো যে নয় অবস্মৃতে কারা নড়ে?
হৃদয়ের যে রাণী প্রাণের যে রাজকুমারী এখনো বলে ফিরে-
বাবা আজ ছুটির দিন তোমাকে মনে পড়ে।
অরাজক যতোই হোক না আজের এই দিনমালা,
বহুকাংখিত হিসেবি সব আত্মাহুতি হৃদয়ের অঞ্জলি চন্দনো সুবাসে ভরে।
মনে পড়ে ওদেরও যাপনে তোমাদের স্মৃতি স্মরে।