হঠকারিতার বিপরীতে প্রবল মানব জোয়ারে সময়ের অবিনাশী ধুমকেতু-
সমুখে দাঁড়িয়ে কোটি হৃদয়ের সরব আকাঙ্ক্ষায়-
সেদিনের গর্জিত আহ্বানে ভূখণ্ড কাঁপিয়েছিল।
দিশারী মনের খাতায় মুহূর্তরা এঁকেছিল এক বিদীর্ণ উজ্জ্বল স্বপ্নের সুচারুপাত।
সেদিনের সেই কণ্ঠে আবেগ ছিল আকাশ সমান শুধুমাত্র মানুষের জন্য।
মনের প্রবাহে থাকা অদম্য বাসনায় ঠাঁসা-
উপচানো তেজের প্রণিধানে যোগ পেতেছিল হুংকার-
পৃথিবীর সীমানায় নতুন করে এক মানচিত্র আঁকার।
অনুভবের আকর্ষণে তীব্র সাড়া; মানুষ মাতে স্বাধীনতার গন্ধে পূর্ণ দীপ্য উচ্চারণে।
প্রতি বর্ষের সাতই মার্চের উদাত্ত সেই মনোজ্ঞ কণ্ঠের উদ্দীপ্ত কারুকাজ-
বাঙ্গালি ভুলতে পারে না কখনো পারবেও না।
স্বাধীনতাকামী মানুষকে এক সুতোয় বেঁধে যুদ্ধের ডামাডোলে নিয়ে যাওয়া-
কখনো নয় কোন সহজ কিছু; দুর্জয় তাঁর প্রতি পাতার প্রতি কথা।
মানুষের বুকে স্বদেশ পাবার লুকোনো মহড়ার প্রতি পর্বে পর্বে-
বঙ্গবন্ধুর জ্বালাময়ী সে ভাষণ সুতীব্রে এখনো নাড়া দেয় নতুন করে কিছু করবার।
সে ভাষণ ছিল রক্তচোষাদের বিরুদ্ধে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ।
যে ভাষণে উঠে এসেছে অধিকারের জয়গান।
সাতই মার্চের দুর্দমনীয় ব্যগ্র ভাষণ ছিল প্রতি মানুষের জন্য-
বঙ্গবন্ধু গর্জনে সৃজনে যেন ঈশ্বর প্রেরিত সত্যিকারের বিভূষিত এক ত্রাতা।
মানুষ ভালোবাসতো তাঁর বীরদর্পে বোনা সবার প্রাণজে-
সময়ে সময়ে রোপিত অকাট্য ন্যায্য প্রতিযোগকে।
মানুষ বেসে যাবেই ভালো তাঁকে সর্বশেষ মুহূর্ত পর্যন্ত পৃথিবীর,
এমনি এক বিশালতার কল্লোলে ধ্বনিত বঙ্গবন্ধু-
এমনি এক উচ্চতার আকর্ষণে গর্বিত বাঙ্গালি জাতি তাঁকে পেয়ে-
স্বভূমে কতো কথায় তাঁর তরে রচিত হৃদয়ের আকুতি পাতা।
তাঁর ধারালো যূথীময় প্রজ্ঞার প্রতিটি মানবিক মানসে আঁকা-
বাঙ্গালির মুক্তির জয়গান সাথে দেশকে ভালোবাসার মন্ত্রে পুঞ্জিত আহ্বান।
বঙ্গবন্ধুর প্রাণের আস্বাদ আমাদের এ দেশ-
জীবনের বিনিময়ে ছেঁড়া বাতাসে অক্ষয় চিরঞ্জীব অম্লান।