চূর্ণবিচূর্ণ মনে খ্যাপাটে আক্ষ্যেপের তীব্রতা অনেক।
আর কীভাবে ভালো লাগে কারও কখনো ছুঁড়ে দেয়া কষ্টের আঘাত?
পৃথিবীর যাপিত জীবনে সবাই তো জানাকথা সৃষ্টিগত নজরবন্দী।
হৃদপিণ্ডের অধরে ফিরে আসা প্রতিটি রক্তকণার চাপে-
কলকল করে রক্তজ জল স্ফুরে উঠে দর্পে গরজে জীবনের শক্তি নাড়ে।
মৃত্যুর অমোঘ বিস্বাদ কতো নিষ্ঠুর ওজনে মাপা।
জলাভাবে শুকিয়ে যাওয়া জ্যৈষ্ঠের খরতাপে পোড়া কাষ্ঠের মতন।
বেঁচে থাকার পরতে পার্বতে ঢের লুকিয়ে থাকে-
থোকায় থোকায় অনেক অধ্যায় অসমাপ্ত।
অজানা অসংখ্য জীবনের নানান কান্না-হাসি জানা হয়না,
মনের মোচরে ফেরারি তাও তো কতো যে অতীত।
নোঙ্গরে নোঙ্গরে জলের অতলে কেটে স্রোতে হারায় থকথকে স্বাদু মাটি।
অভিজ্ঞ কুঁচকে যাওয়া সাহসী পাঁজরও বয়সের ভারে নুয়ে পরার আগে-
হাঁটে হাতে ধরে লাঠি, ভাবে পৃথিবীর পরেও তো আছে অনন্ত উপাক্ষ্যা।
অপেক্ষার মৌনতায় তাই যেন লৌকিক চাহনিগুলো-
গভীর জলে ডুবুরীর মতো মনে পুষে রাখা ভয়ের জালে-
আঁতকে উঠে হঠাৎ।
আবার টেনে নিয়ে সজীব নিঃশ্বাস প্রকৃতির কোলেই বাঁচবে বলে।