ধরিত্রীর উলঙ্গ বক্ষে আমি জন্মেছি পলাশ ফুল হয়ে,
রক্তাভ লালের সাথে কেমন যেন হলুদের জোয়ার মেশানো..
নরম উদরকে ভেদ করেছে শৃঙ্গাকার আবছা আগামী।
আমি সুন্দর আমি মনোরম আমি কদাকার আমি বিভীষিকাময়!
আমায় বারবার দাবিয়ে দিতে চেয়েছো অহঙ্কারী বসন্তের ছায়ার আড়ালে,
আমাকে করে তুলতে চেয়েছো..
বসন্তের রাজ্যসভায় নৃত্যরতা আত্মসম্মানহীনা এক নর্তকী।
যার পরিচয় শুধু অপমানে অবহেলায় বঞ্চনায় আর কামনায়।
কিন্তু আমি তো শিল্পী নিজের শিল্পকে আকড়ে ধরে বাঁচতে চাওয়া এক শিল্পী।
আমি সত্বন্ত্র!যেমন সাদা কুয়াশার বুক চিরে বেরিয়ে আসে ধবল বক!
যেমন মাটির শত বাধাকে পেরিয়ে বেরিয়ে আসে ফসলের মাথা,
তেমনি বসন্তের নামাবলীকে ছুড়ে ফেলে একদিন বেরিয়ে আসবে শুধুই পলাশ!
শুধু বসন্তের ডাকেই পলাশ ফুটবে কেন?
কোনোদিন পলাশের ঘ্রানেও বসন্ত আসুক,চিনুক বসন্তকে পলাশের নামে।।