আকাশের নীল রঙ যখন ধূসর হয়ে আসে
মাছরাঙ্গার দল শুন্য উদরে নীড়ে ফেরে,আর..
ডানার শব্দে ধিক্কারের বিষ ফেনীয়ে ওঠে!
সমগ্র মানুষ জাতির শিরদাঁড়ায় জল জমেছিল সেদিনই,
যেদিন রানীর মুকুটে থাকা উজ্জ্বল হিরেটার কাছে।
আমিবার যুগ থেকে তাকে ধারণ করা মাটির মূল্য নগন্য হয়ে যায়!
তার ক্ষুধার অন্ন ফলিয়ে আসা সে মাটি..
তার পায়ের ধুলো আপন করে বাঁচা সে মাটি..
হিরে সহ সহস্র মহা মূল্যবান খনিজের ঘর সে মাটি
কিন্তু তার মূল্য দিতে গেলে আমাদের হাত কাঁপে,
প্রাপ্য সম্মান টুকুও তাকে কখনো দেওয়া হয়নি।
কিন্তু সে নীরবে তোমার লোভের যোগান দেয়,
তার ফলানো ফসলের শেষ নির্যাস টুকুও শুষে নাও
কম্পমান বুক, নিঃশব্দতার জন্য যেমন ব্যাকুল হয়ে ওঠে,
যেমন করে অবহেলায় ঝুঁকে পরে সদ্যোজাত আম্রকলি।
ঝরে পরে রক্তকরবী অকালে আসা কালবৈশাখীতে..
তেমন করেই মাটির কবরে ফেলা হয় মৃত মাটিদের!
ওই দূরে কালপেঁচার চিৎকার ধ্বংসের আগাম জানান দেয়।
অবহেলিত মাটির দল আন্দলনের দিকে পা বাড়ায়
হটাৎ এ পৃথিবীতে প্রলয় আসে; ঠিক যেমন এসেছিল..
সতীর মৃত্যু শোকে নাচতে থাকা মহাদেবের তান্ডব নৃত্যের সময়!
পৃথিবীকে আবার প্রস্থর যুগে নিয়ে যায় যেখানে শুধু মাটি আর মাটি।