রাতের কোলে কত ফুলের কুঁড়ি ঝরে যায়,
তাই কন্ডোম পড়ুক এই মহাভারতের সূচনায়।।
রণক্ষেত্রের প্রেক্ষাপটটা রোমাঞ্চিত ভাবে সাজানো,
সবাই ছিল দ্রৌপদী,ভীষ্ম,দ্রোনাচার্য,কর্ন, অস্বথামা
দুর্যোধন ,দুঃশাষন, আর রণছোড় কৃষ্ণ ও।
কিন্তু এই মহাভারতের পাণ্ডব ছিলো..
অসহায় ,নিরুপায়,দুর্বল,কিন্তু অদম্য সাহসী,
বিকর্ণের মৃত্যু সংবাদ টা জানি শোনা কঠিন।
দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ এখানেও হয়েছিল,
সেও কৃষ্ণকে ডেকেছিল ,হ্যা কাতর ভাবেই ডেকেছিল
কিন্তু এই মহারণে কৃষ্ণও যে কৌরব পক্ষে
তাই একে একে আকাশে উড়েছিল শাড়ি, সায়া,ব্লাউজ
প্রকাশ্যে আজ দ্রৌপদী ধর্ষিত হলো।
কিন্তু আকাশ ,বাতাস ,সব আজ কৌরবতায় আচ্ছন্ন
কিন্তু যাজ্ঞাসেনী তো অগ্নি কন্যা, প্রতিবাদিনী
তাই মহাভারতের যুদ্ধের ভেরি নিজেই বাজালো..
পাণ্ডবরা ভয় নিয়েই পাশে দাঁড়ালো ।
কিন্তু ভগবান কৃষ্ণের হাত যাদের ওপর...
দুর্বল পাণ্ডব তার কি বা করতে পারে!
একে একে মারা গেলো সবাই ,হ্যাঁ সবাই
কিন্তু তখনও একাই যুদ্ধ করে চলেছে পাঞ্চালি,
হ্যাঁ সম্মানের জন্য ,সত্যের জন্য, জীবনের জন্য
কিন্তু প্রতিবাদিতার একটা জ্বলন্ত সূর্যও অস্তমিত হলো,
আজ পুবের আকাশ লাল হয়েছিল ,বিচ্ছুরনে না
যোনি ফেটে বেরিয়ে আসা দেবীর রক্তে,
হ্যাঁ ঠিক ই শুনেছো দেবী ভারতী আজ ধর্ষিত
রক্ত তার শরীরেও লেগে আছে।।
মাথা গরম করো না ,পরিস্থিতি বিচার করো,
আমি মেনে নিয়েছি আমি নপুংসক,
তুমিও মেনে নাও, মাথা নামাও।
এই কলমকে ক্ষমা করো ,সে মানতে পারেনি,
কারণ সে পুরুষত্ব এই মাটি থেকে পেয়েছে,
ভারত মাতার কাছ থেকে।
কিন্তু বিশ্বাস করো আমি নপুংসক
এই মহাভারতের আমি নপুংসক,
সত্যি টা তুমিও মেনে নাও।।