তুমি চাইলেই আমরা এক হতে পারতাম,
পাল্টাতে পারতাম শরতের পর শীত আসার
সেই চিরাচরিত নিয়মকে!
হয়তো লড়াই করতে হতো,
কিন্তু বিশ্বাস আছে আমরা পারতাম..
তুমি চাইলেই..
আমরা পারতাম অসম্ভবের অস্পৃশ্যতাকে ছুয়ে,
দুটি যুগ্ম তারার মতো সহবস্থান করতে।
                  

তোমাকে দেখেছিলাম সেই কবে
দীর্ঘ ভ্রমর কালো দুটি চোখে আগুন বসানো ছিলো
কি অতল মর্মস্পর্শী চাহনি ছিল তোমার।
সেই চাহনি যে কোনো প্রেমিকের হৃদয়কে অনায়াসেই ছুঁতে পারতো!
পারতো!থার্মোমিটারের পারদ কে অসীম ছুয়াতে!
যেমন করে খরস্রোতা নদী শব্দ করে আপন মনে বয়ে চলে।
ঠিক তেমন এক অনাবিল আনন্দের সাগর ছিল তোমার বুকে!
যার পিপাসা প্রথিক কে পথভ্রষ্ট করতে পারতো..
আমিও পথ হারিয়েছিলাম
তুমি চাইলেই সেই পথে বসাতে পারতাম লক্ষাধিক তারাদের মেলা..

তুমি চাইলেই এই পৃথিবী নব্য একজন প্রেমিক খুঁজে পেতো…
পেতো অজস্র গল্পকথা বা উপন্যাস
যার প্রত্যেকটি ছত্রে তোমার প্রতি আমার ভালবাসা প্রকাশ পেতো।
তারা জানতে পারতো প্রাপ্তি!প্রেম সমুদ্রের পানিকে,
কোনো ভাবেই কমাতে পারেনা ।
বিরহ হীন এক দিগন্ত বিছানো প্রেমের সাক্ষী থাকতো এই পৃথিবী।
প্রেমের শহর পেতো একমুঠো টাটকা বাতাস!
যে বাতাস এক পশলা বৃষ্টির পরে চাতকের বুকে ভালোবাসার জন্ম দেয়।

তুমি চাইলেই প্রত্যেকটা তারাদের আমি মিলিয়ে দিতাম!
শুকিয়ে দিতাম প্রত্যেকটা অপ্রাপ্তির হ্রদকে,
প্রেম সুনামির ঢেউ এ মিশিয়ে দিতাম রাত্রির জোছনা।
আঁধারের ওই ল্যাম্প পোস্টের আলোকে
পৌঁছে দিতাম পৃথবীর মনের অন্ধকারে..
তোমার চোখে জমা ওই বিস্তীর্ণ গিরিখাত
আমি ভরিয়ে দিতাম দুর্বার নরম আদরে।।

তুমি চাইলেই আমি ভেঙে দিতাম সব নিয়মের বেড়াজাল,
সেই সব পাহাড়কে যারা তোমার দৃষ্টিকে আটকায়!
যত ক্ষুদ্রই হোক না কেন!সেই সব জিনিস স্থান পেতো মহাশূন্যের কূহকে
যারা কখনও তোমাকে কষ্ট দেওয়ার চিন্তায় মগ্ন ছিল।

তুমি চাইলেই আমি একা এই পৃথিবীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা দিতাম,
মুছে দিতাম সেই সব প্রতিকূলতাদের যারা আমাদের এক হতে বাধা দেয়
তুমি চাইলেই পৃথিবীর সমস্ত নদীদের সাজিয়ে দিতাম তোমার স্নানঘরে,
সমস্ত আগ্নেয়গিরিদের গুছিয়ে রাখতাম তোমার শীতের শহরে!
সমস্ত নক্ষত্রদের গেঁথে দিতাম তোমার ঘুমের দেশে’
তুমি চাইলেই….