শরৎ এলেই হাটতে চলি, ছেলেবেলার সেই স্মৃতির গলি
শরৎ এলেই রংয়ের তুলি, বাতাসে নতুন গানের কলি;
শরৎ এলেই ছুটির সুবাস, বেড়ায় উড়ে আকাশ নীলে
শরৎ এলেই সন্ধি সমাস, প্রেম লুকোনো মেঘের কোলে।
শরৎ তখন নতুন জামা, নদীর তীরে কাশের ফুল
শরৎ তখন স্বপ্ন বোঝাই, এক জা্হাজের মাস্তুল ;
শরৎ তখন জিলিপি পাঁপড়, আলপনা আঁকা উঠোনময়
শরৎ তখন শিশির চাঁদর, খেলনা বন্দুকে রাজ্য জয়;
শরৎ মানেই সবুজ মাঠে, হালকা কিছু সোনালী আভা
শরৎ মানেই গ্রামের ভিটে, গোধূলিবেলার হলুদ শোভা।
এখন শরৎ অচেনা লাগে, নতুন গল্পে জীবন পাতা
পুরোন শব্দেরা মনেতে জাগে,ছন্দ পাল্টেছে কবিতা খাতা।
শরৎ এখন আধুনিকতায়, সাজ ধরেছে নিয়নবাতি
শরৎ এখন বিষন্নতায়, গান ভুলেছে সেই প্রভাতী ;
শরৎ এখন স্টিমড রাইসে, সেলফি তোলার উদ্যমে
শরৎ এখন ভাগ হয়েছে, পূজো ভাষানে মহরমে।
শরৎ এখন মেঘ ধরেছে, আকাশ কালো অভিমানে
শরৎ এখন ঘাম ঝরেছে, সভ্যতার শহুরে কার্বনে ;
শরৎ এখন মুখ ঢেকেছে, ধুলো ম্যারাপ পোষ্টারে
শরৎ এখন আমায় ডাকে, স্মৃতির গলি ও অন্তরে।
শরৎ আমায় স্বপ্ন দেখায়, জন্ম দেয় হোককলরব
শরৎ আমায় ভাবতে শেখায়, ভাবা যা ছিল অসম্ভব;
শরৎ আমায় বৃষ্টি ভেজায়,লাখো যৌবন স্লোগান মুখে
শরৎ আবার আগুন জ্বালায়,এসি ঘরের ঠান্ডা সুখে।
শরৎ আবার প্রেমের দোসর, জিন্স পাঞ্জাবী শাড়িতে
শরৎ মানেই হারিয়ে যাওয়া, হাতে হাত রেখে ভিড়েতে;
শরৎ মানে শত অবিশ্বাসেও, তোমার সাথে পুষ্পাঞ্জলি
বৃষ্টি বাদল ঝড়ের মাঝেও,টুনির আলোয় আঁধার গলি।
শরৎ এবার তোমায় ছাড়া, শরৎ এবার ক্লান্ত রুগ্ন
শরৎ নব স্বপ্নে গড়া, শিশুর পানে হয়েছে মগ্ন
শরৎ এখন রক্ত খোজে, শহর পোড়ে ডেঙ্গি জ্বরে
আঁচর নিয়ে বুকের খাজে, দুর্গারা সব ফিরছে ঘরে।